নেহা এলএম ত্রিপাঠি
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে রেলের টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট বদল আসতে চলেছে। রেল সূত্রে খবর, প্রতি মিনিটে ২.২৫ লাখ টিকিট ইস্যু করা যাবে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে।
শুক্রবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী প্রজন্মের ই টিকেটিং প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের নেপথ্য়ের সিস্টেমকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি মিনিটে ২৫,০০০ টিকিট ইস্যু করা যায়। তবে এবার সেই টার্গেটকে বৃদ্ধি করে প্রতি মিনিটে ২.২৫ লাখ করার টার্গেট ঠিক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত বর্তমানে IRCTC ওয়েবসাইটে প্রতি মিনিটে ২৫০০০ টিকিট বুকিংয়ের সীমা রয়েছে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, প্রতি মিনিটে বর্তমানে ৪ লাখ এনকোয়ারির জবাব দেওয়া হয়। তবে এবার সেটা বৃদ্ধি করে প্রতি মিনিটে ৪০ লাখ করা হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ সালে ৭০০০ কিমি নতুন রেলওয়ে লাইন পাতা হবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৪৫০০ কিমি নতুন রেললাইন পাতার ব্যাপারে টার্গেট ঠিক করা হয়েছে। মোটামুটিভাবে ২০২৩ আর্থিক বছরে প্রতিদিন ১২ কিমি রেললাইন পাতার টার্গেট করা হচ্ছে। এদিকে ২০১৪ সালে এই রেললাইন পাতার পরিমাণ ছিল প্রতিদিন ৪ কিমি। আগামী আর্থিক বছরে সেই রেললাইন পাতার পরিমাণ কার্যত দ্বিগুণ করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এর জেরে যাত্রী পরিবহণ ও সার্বিকভাবে রেলের দক্ষতার আরও উন্নতি হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল ২০১৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১০,৪৩৮টি ফ্লাইওভার আর আন্ডারপাস করা হয়েছে। মানুষের সুরক্ষার জন্য এটা করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০০টি ২০২৪ আর্থিক বছরে করা হবে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ২০০০ রেল স্টেশনে জন সুবিধা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সেই স্টোরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থাকবে। কোনও যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি ফেরার সময় সেই স্টোর থেকে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট স্কিমে এখনও পর্যন্ত ৫৫০ স্টেশনে ৫৯৪টি আউটলেট খোলা হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই স্টেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৭৫০টি করা হবে।
এই কেন্দ্রগুলিতে মূলত দেশীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হবে। এখানে হস্তশিল্পের সামগ্রীও বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দে ভারতের মিনি ভার্সন বন্দে মেট্রো চালু করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে।
মূলত শহরাঞ্চলে কর্মস্থল থেকে বাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা কার্যকরী হবে।