‘ধন্যবাদ’, গালওয়ান সংঘর্ষে লড়া বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানের পিঠ চাপড়ে দিলেন রাজনাথ

প্যাংগং সো লেকের কাছে লুকুং ফরোয়ার্ড পোস্টে জওয়ানদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

লুকুংয়ে জওয়ানদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাজনাথ (ছবি সৌজন্য এএনআই)

গালওয়ান সংঘর্ষে লড়া ১৬ বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানের সঙ্গে দেখা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। জওয়ানদের কাঁধে হাত রেখে, পিঠ চাপড়ে ধন্যবাদ জানান।

চিন সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার লাদাখ সফরে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। হাফবেলার শহরে প্রথমে স্ট্যাকনা ফরোয়ার্ড পোস্টে যান। পরে যান প্যাংগং সো লেকের কাছে লুকুং ফরোয়ার্ড পোস্টে। সেখানে জওয়ানদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। জওয়ানদের সঙ্গে আলাপচারিতাও সারেন। 

রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে সেই আলাপচারিতার একটি ভিডিয়ো টুইট করা হয়। তার সঙ্গে বলা হয়, ‘লাদাখের লুকুংয়ের ফরোয়ার্ড পোস্টে সফরের সময় বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন।’

টুইটে আলাদাভাবে ১৬ বিহার রেজিমেন্ট বলা না হলেও ভিডিয়োয় এক জওয়ানের সঙ্গে পরিচয় করানোর সময় এক উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, গালওয়ানে যে জওয়ানরা লড়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ইনি একজন। তারপর সেই জওয়ানের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন রাজনাথ। তাঁর পিঠ চাপড়ে দেন। ধন্যবাদও জানান। কিন্তু দমকা হাওয়ায় পরের সব কথা স্পষ্টভাবে শোনা যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন গালওয়ানে ভারতীয় এবং চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ঘ হয়েছিল। সংখ্যায় ঢের বেশি ছিল চিনা সেনা। হাতে ছিল পেরেক লাগানো লোহার রড। তা সত্ত্বেও পিছু হটেননি ১৬ বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল ৩ পঞ্জাব, ৩ মিডিয়াম রেজিমেন্ট এবং ৮১ ফিল্ড রেজিমেন্ট। পাঁচ ঘণ্টার বেশি লড়াইয়ের পর চিনা ফৌজিদের মেরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। চিনের তরফে সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা অবশ্য জানানো হয়নি। ভারতের ২০ জওয়ান মারা গিয়েছিলেন।