রাজ্যসভার ৫৬টি আসন পূরণ করতে হবে। এই মর্মে সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আসনগুলির জন্য ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে এই আসনের একটা বড় অংশ নিজেদের দিকে রাখার ব্যাপারে সব চেষ্টা করছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এই আসনগুলির মধ্য়ে ১০টি রয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে, ৬টি করে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও বিহার থেকে, মধ্য়প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছে পাঁচটি করে, কর্ণাটক ও গুজরাট থেকে রয়েছে চারটি করে, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে রয়েছে তিনটি করে, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ হরিয়ানা ও ছত্তিশগড় থেকে রয়েছে ১টি করে আসন।
এদিকে এবার জেডিইউ ফের এনডিএর শরিক হিসাবে থাকছে। সেক্ষেত্রে এবার এনডিএর শক্তি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বিহারে এবার বড় পা ফেলতে পারবে এনডিএ। হিসাবে বলছে বর্তমানে রাজ্যসভাতে এনডিএর আওতায় রয়েছে ১১৪টি আসন। বিজেপির একার রয়েছে ৯৩টি আসন। এদিকে এবার জেডিইউ ফিরে এসেছে বিজেপিতে। সেক্ষেত্রে এনডিএর শক্তি আর বাড়ছে। মানে আরও পাঁচটি আসন এবার এনডিএর দখলে চলে আসছে। মানে এআইএডিএমকে চলে যাওয়ার পরে যে ৩টি আসন খোয়াতে হয়েছিল এনডিএকে সেটা এবার পূরণ করে দিচ্ছে জেডিইউ। মানে শুধু পূরণ করছে এমনটাই নয়, পূরণ করার পরেও বাড়তি কিছু দিয়ে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার এনডিএর পোয়া বারো। সেই সঙ্গেই আরও বিপর্যস্ত বিরোধী শিবিরের।
এদিকে ইন্ডিয়া জোটের অধীনে রয়েছে ৯৩টি আসন। তার মধ্য়ে এক কংগ্রেসেরই রয়েছে ৩০টি আসন।
বাকি ৩১টি আসন রয়েছে বিজেডি,ওয়াইএসআর-কংগ্রেস ও বিআরএসের দখলে।
এদিকে বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস মূলত নিরপেক্ষ দল বলেই পরিচিত। মানে তারা সরাসরি এনডিএতে যায় না আবার ইন্ডিয়া ব্লকের অধীনে থাকে না। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে ফের অগ্নিপরীক্ষা এনডিএ ও ইন্ডিয়া জোটের।
এর আগে দেখা গিয়েছিল হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরার পরে বিপাকে পড়ে এনডিএ। বিহারে ৬টি আসন ফাঁকা রয়েছে। তার মধ্য়ে দুটি ছিল জেডিইউর আর আরজেডির দখলে আর একটি করে আসন ছিল কংগ্রেস ও বিজেপির দখলে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।