করোনা সংক্রমণের জেরে পিছিয়ে গেল রাজ্যসভা নির্বাচন। ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভোটের। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আপাতত তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে কার্যত লকডাউন চলছে ৩১ মার্চ অবধি।
পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাঙ্গ হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। কিন্তু এখনও ১৮টি আসনের জন্য সাত রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। তার দিনক্ষণ পিছিয়ে গেল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন যে আপাতত নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই। তাই পিছিয়ে দেওয়া হল।
ইসি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে বর্তমানে দেশ একটি স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে একজায়গায় অনেক লোক একত্রিত হওয়া উচিত নয়, সংক্রমণ রোখার জন্য। কিন্তু রাজ্যসভা নির্বাচন হলে একত্রিত হতে হবে পোলিং অফিশিয়াল, রাজনৈতিক দলের এজেন্ট ও বিধায়কদের। যেটি এই সময় কাম্য নয়। তাই পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভোট।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয় ও গুজরাতে ভোট হওয়ার কথা ছিল, যা এখন জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৫৩ ধারা জারি করে পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তবে জুন মাসে যে পরের ধাপে রাজ্যসভা নির্বাচন আছে, তার সঙ্গে এগুলিকে মিশিয়ে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। রাজ্যসভা নির্বাচনে বিধায়কদের ওপেন ব্যালটে নিজের ভোট দিতে হয়, যেটি দলের এজেন্টকে দেখাতে হয় প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে।