সন্দেশখালি কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন ওখানে আরএসএসের বাসা। এরপরই এনিয়ে ফুঁসে উঠেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আরএসএসের হাত রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা বলছেন। লজ্জা লাগে আপনাদের। এত কুৎসিত, এত নিষ্ঠুর, এত নারীবিরোধী মমতাজি হয়ে গেলেন কেন?
বিজেপি নেতা আরও বলেন, বিজেপির কোনও মুখ্যমন্ত্রী যদি একই ধরনের মন্তব্য করতেন তাহলে তা বড় ব্যাপার হয়ে যেত। বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, এটাকে লজ্জাজনক দ্বিচারিতা বলা হচ্ছে।
সন্দেশখালি গ্রামে অশান্তির জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, আরএসএসের অন্য পরিকল্পনা ছিল এলাকায় হিংসা ছড়ানোর । সেখানে আরএসএসের ঘাঁটি রয়েছে। ৭-৮ বছর আগে সেখানে দাঙ্গা হয়েছিল। এটি দাঙ্গার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। সরস্বতী পুজোর সময় আমরা পরিস্থিতি কড়া ভাবে সামাল দিয়েছিলাম, না হলে অন্য পরিকল্পনা ছিল। দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য কমিশন ও প্রশাসনকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে আমাদের মহিলা কমিশন গিয়েছিল। মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের অভিযোগ শোনার জন্য মহিলা পুলিশের একটি দল যাচ্ছে।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সন্দেশখালি গ্রামে ব্যাপক হয়েছিল।বছরের পর বছর ধরে অত্যাচার ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান ওই গ্রামের মহিলারা।
পরবর্তী পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন এবং জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি সফর করেন। রাজ্য প্রশাসনও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এটি খতিয়ে দেখার জন্য সিনিয়র আইপিএস অফিসারদের ১০ সদস্যের একটি দল নিয়োগ করেছে।
অন্যদিকে সোমবার বিজেপির সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে হাওড়ায় এসেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। আর সেখানেই সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন মধ্যপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের পবিত্র ভূমিকে দুর্নীতির রাজ্য বানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতি চরমে উঠেছে। জনতা ত্রাহি ত্রাহি করছে। রাজ্যে পরিবর্তন হবেই। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। অথচ তিনি রাজ্যের মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা খুবই খারাপ জায়গায় দাঁড়িয়ে।'
(এজেন্সির ইনপুট সহ)