সপ্তর্ষি দাস
তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র। বুধবার তিনি মহিলা সংরক্ষণ বিলে তাঁর দলের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। তবে তার সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন সরকার এই বিল নিয়ে অযথা দেরি করেছে। আসলে ওদের একটা মতলব ছিল।
এমপি মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, বিলের ৩৩৪ ধারায় বলা হয়েছে এই সংরক্ষণ তখনই লাগু হবে যখন খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর সেটা তখনই হবে যখন পরের জনগণনা হবে। সেই খসড়া তালিকার পরে এই সংরক্ষণ করা হবে। তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে! এটা আসলে বিজেপির দুরকম কথা। তার মানে কবে এই ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ আসবে সেটা নিয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য় নেই। কারণ পরের জনগণনার তারিখ এখনও নিশ্চিত নয়। আবার পরের খসড়া তালিকা প্রকাশের দিনও নিশ্চিত নয়। আর মহিলাদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়টি নির্ভর করছে এই দুই অনিশ্চিত তারিখের উপর।
সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন লোকসভা ভোটের ৬ মাস আগে এই বিল এনে এটা ডবল জুমলা( মিথ্যে প্রতিশ্রুতি) হতে পারে। এই বিলের নাম রাখা দরকার, women's reservation rescheduling bill'।
তিনি বলেন, সরকার আনলটা কী? এটা মহিলা সংরক্ষণ বিল নয়। এটাকে women's reservation rescheduling bill' বলে নাম দেওয়া দরকার। এই দেশের মায়েরা কী ভাবছেন তাঁদের মেয়েদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু ৭৫ বছর দেরি হয়ে গেল। এটা একদিকে আমার গর্ব। আর অন্যদিকে আমার লজ্জার। আমি সংসদে দাঁড়িয়ে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কথা বলছি। এটা গর্বের যে আমার তৃণমূল দল ৩৭ শতাংশ মহিলাকে সংসদে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানোর টিকিট দিয়েছিলেন। আর আমি এমন একটি লোকসভাতে রয়েছি যে এখানকার ১৫ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি। সারা বিশ্বের গড় ২৬.৫ থেকে অনেক কম। গোটা এশিয়ায় এই গড় ২১ শতাংশ।
তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হলেন এই বিলের মা। তিনি আসল ভাবনার জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি ৩৭ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠানোর জন্য টিকিট দিয়েছিলেন।