1/5 ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝে রাশিয়া ক্রমাগতই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে রণ হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, তারই মাঝে এক বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ তার সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তুলে ধরেছে ‘বুলেটিন অফ অ্যাটোমিক সায়ানটিস্ট’এর রিপোর্ট। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলি তাদের পরমাণু অস্ত্রকে শুধু শক্তিশালীই করছে না, তারসঙ্গে তারা সম্ভাব্য পরীক্ষার জন্য বিস্ফোরণের পরিকল্পনাতেও রয়েছে। এই বিস্ফোরক দাবি ‘বুলেটিন অফ অ্যাটোমিক সায়ানটিস্ট’এর রিপোর্ট-এ উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’। REUTERS
2/5 উল্লেখ্য, রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবিতে বলা হচ্ছে, ভারত ও পাকিস্তানও ‘ সুযোগ করে নিতে পারে তাদের আরও একটি ডিভাইসকে পরীক্ষা করার।’ উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। আর এই দুই দেশ সহ বহু দেশ সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে। এই দাবি, ‘বুলেটিন অফ অ্যাটোমিক সায়ানটিস্ট’ এর রিপোর্টে প্রকাশিত। উল্লেখ্য, এই ‘বুলেটিন অফ অ্যাটোমিক সায়ানটিস্ট’ ১৯৪৫ সালে শুরু করেছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ও ম্যানহ্যাটেন প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞনীরা।
3/5 যে রিপোর্টে এই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে, সেটি ইউরোপিয় পার্লামেন্টের নিউক্লিয়ার অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত অ্যাডভাইজার ফ্রাঙ্কোইজ দিয়াজ মউরিন। রিপোর্ট বলছে,পরমাণু অস্ত্র ডিটোনেশন বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তি থাকা সত্ত্বেও বহু দেশ এই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার দিকে ফের ঝুঁকছে। আর এর প্রমাণে রিপোর্ট দাবি করছে, স্যাটেলাইটের ধরা পড়া কিছু ছবি।
4/5 ওই বিস্ফোরক রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সাল থেকে কিছু পর পর স্যাটেলাইট ছবি বলছে, চিন, রাশিয়া, আমেরিকা সহ বহু দেশ এবার পরমাণু অস্ত্রের প্রস্তুতি করছে। চিন, রাশিয়া, আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশ সম্পর্কে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বিষয়ক এই তথ্য বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অনেকে।
5/5 রিপোর্ট বলছে, নজরে থাকছে ভারত ও পাকিস্তানও ‘যারা সদ্য ১৯৯৮ সালে টেস্ট করেছে, আর সিটিবিটি বা কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটিতে স্বাক্ষর করেনি।’ প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এদিকে, ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রাশিয়া আর চিন তাদের মাটির নিচের সুড়ঙ্গের পরিসর বাড়াচ্ছে। দুই দেশের নোভায়া জেমলিয়া, আর লোপ নুরে পারমাণবিক ঘাঁটি পরিসর বাড়াচ্ছে বলে খবর।