স্বামী সন্দেহ করতেন প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে হয়তো তাঁর স্ত্রী ফোনে কথা বলেন। আর সেই সন্দেহের বশেই তিনি স্ত্রীর ফোনটি কেড়ে নিয়েছিলেন। আর তার ফল যে এমন মারাাত্মক হবে তা কে জানত?
এরপরই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল স্ত্রী। স্বামী যখন ঘুমোচ্ছেন তখন তার গোপন স্থানে গরম তেল ঢেলে দেন স্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের মাধবী নগর এলাকার ঘটনা। এদিকে ঘুমন্ত অবস্থায় গরম তেলে ছ্যাঁকা খেয়ে চিৎকার করে ওঠেন স্বামী। প্রতিবেশীরা দ্রুত ছুটে আসেন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ততক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছেন স্ত্রী। স্বামী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তার খোঁজ করছে।
আহত স্বামীর নাম সুনীল ধাকাড়। বয়স ৩২। তিনি একটি বেসরকারি জায়গায় কাজ করেন। তার স্ত্রী ভাবনা তার সঙ্গেই থাকতেন। এদিকে পাশের বাড়ির এক মহিলা সম্প্রতি সুনীলের কাছে নালিশ করেছিলেন যে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর ভাবনা তার স্বামীর সঙ্গে গল্প করতে আসেন। একথা শুনে সন্দেহ বাড়তে থাকে সুনীলের। একদিন কাজ থেকে ফিরে তিনি দেখেন ভাবনা ফোনে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলছে। বার বার বারণ করার পরেও তিনি শুনতেন না। একসময় রাগে ফোনটি কেড়ে নেন তিনি।
এরপরই এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। এদিকে রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন সুনীল। রাত তখন ১টা হবে। তখন বিছানা থেকে চুপি চুপি উঠে যান ভাবনা। এরপর তিনি রান্নাঘরে গিয়ে কড়াইতে তেল গরম করেন। এরপর সেই গরম তেল তিনি সুনীলের গোপনস্থানে ঢেলে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই আর্তনাদ করে ওঠেন সুনীল। আর তার স্ত্রী ঘর ছেড়ে পালান। চিৎকার করতে শুরু করেন সুনীল। চারপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসে।
এদিক গরম তেলে ঝলসে যায় সুনীলের অঙ্গ। প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা কোনওরকমে সুনীলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। সুনীল ভাবনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ভাবনার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
সুনীলের দাবি, দিনের পর দিন ধরে তার স্ত্রী পাশের বাড়ির যুবকের সঙ্গে কথা বলত। বার বার বললেও শুনত না। আর থামাতে গেলে ভয় দেখাত। বাধ্য হয়েই তিনি ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।