মহাকাশে পাড়ি দিলেন ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা তথা ধনকুব রিচার্ড ব্র্যানসন। তাঁর সঙ্গে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিরিষা বিন্দলা-সহ ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন পাঁচজন কর্মী। যে সংস্থা আগামী বছর মহাকাশে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সারছে।
রবিরার সকাল সাড়ে আটটার কিছুটা পর (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) নিউ মেক্সিকো থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ভার্জিন গ্যালাকটিকের যান। আবহাওয়ার কারণে কিছুটা অবশ্য দেরি হয়। সেই অভিযানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভিএএস ইউনিটি স্পেস প্লেনকে নিয়ে উড়িয়েছে একটি এয়ারক্রাফট। ৪৫,০০০ ফুট উচ্চতায় তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তারপর ভিএএস ইউনিটি স্পেস প্লেনের রকেট ইঞ্জিন চালু হবে এবং পৃথিবীর উপরের দিকে ২৯০,০০০ ফুটের মতো যাবে। রকেট চালু হওয়ার পর যাত্রীরা ওজনহীন মনে করতে পারবেন। সেইসঙ্গে জানালা দিয়ে দেখতে পারবেন পৃথিবী।
তবে অন্যান্য মহাকাশযাত্রার সঙ্গে ভার্জিন গ্যালাকটিকের যাত্রার আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। সেই যাত্রার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মহাকাশে পর্যটন শুরুর ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ ফেলেছে ভার্জিন গ্যালাকটিক। বিশেষত ন'দিন পরেই ব্লু অরিজিনের তৈরি রকেটে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠান জেফ বেজোস। সেই পরিস্থিতিতে মহাকাশ পর্যটনের ব্যবসায় নিজেদের একধাপ এগিয়ে রাখতে মরিয়া ব্র্যানসনের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা।
সেই উড়ানে ব্র্যানসন ছাড়াও আছেন চিফ পাইলট মেড 'ম্যাক' ম্যাকেই, পাইলট মাইকেল 'সুচ' মাসুচ্চি, ভার্জিন গ্যালেকটিক ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার, সিরিষা এবং ভার্জিনের চিফ অ্যাস্ট্রোনোট ইনস্ট্রাক্টর। ভার্জিন গ্যালেকটিকের রিসার্চ অপারেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরিষা। একটা সময় তিনি পাইলট হতে চেয়েছিলেন। তবে দৃষ্টিশক্তিতে সামান্য খামতির কারণে সেই স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল সিরিষার। চতুর্থ ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে তিনি মহাকাশে যাওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করলেন। এই মহাকাশ অভিযানে সিরিষার কাজ হবে গবেষণা করা। ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার একটি পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করে গবেষণা চালাবেন সিরিষা।