‘ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও বহু ভারতীয় ব্রিটেনে থেকে যান’, ট্রাস জমানায় এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান। ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রিত্বেও সেই সুয়েলাই ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব। তবে এরই মাঝে ভারতীয় পেশাদারদের ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। মঙ্গলে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত হয় ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ব্রিটিশ সরকার জানায়, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি ৩০০০ ভারতীয় পেশাদারদের ভিসা দেবে ব্রিটেন।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ঋষির অফিসের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতই প্রথম দেশ যারা এই ধরনের ভিসা স্কিমের লাভ পেতে চলেছে। ভারত-ব্রিটেন অভিবাসন নীতিকে আরও পোক্ত করতে গতবছর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই এই ভিসা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত।’ এদিকে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয় গতকাল উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন ঋষি। তিনি বলেন, ‘তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে চুক্তির মান নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।’ উল্লেখ্য, চলতি বছর দিওয়ালিতেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার কথা ছিল ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে। তবে তা আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে। দুই পক্ষই এই চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে আলোচনা করছে।
এদিকে গতকাল মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর ভিসা অনুমোদন প্রসঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ঋষি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা এবং আমাদের সমৃদ্ধির জন্য ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। গতিশীল এবং বর্ধনশীল অর্থনীতির সাক্ষী এই অঞ্চল। এই অঞ্চলে কী ঘটবে, তার ওপর পরবর্তী দশকের সংজ্ঞা লেখা হবে। ভারতের সাথে আমাদের গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের মূল্য আমার জানা আছে। আমি আনন্দিত যে ভারতের সবচেয়ে উজ্জ্বল তরুণরা এখন ব্রিটিশ জীবনযাবপেন সমস্ত অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন। এর ফলে আমাদের অর্থনীতি এবং সমাজ আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে৷’