ইন্ডিগো বিমানে ঘুষিকাণ্ডে পাইলটের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন এক যাত্রী। যে রাশিয়ান অভিনেত্রী ইভজেনিয়া বেলস্কাইয়ার তোলা ভিডিয়োয় পাইলটকে ঘুষি মারার দৃশ্য ধরা পড়েছিল। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই রাশিয়ান অভিনেত্রীর দাবি, উড়ান ছাড়তে দেরি হওয়ার জন্য যাত্রীদের উপরই দোষ চাপিয়ে দিচ্ছিলেন ইন্ডিগোর দিল্লি-গোয়ার বিমানের পাইলট অনুপ কুমার। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। যাঁরা দু'ঘণ্টা ৩০ মিনিটের বিমানের জন্য সকাল থেকে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করে এমনিতেই তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। পাইলটের সেই মন্তব্যে আরও চটে যান যাত্রীরা। তারপরই সাহিল কাটারিয়া নামে এক ব্যক্তি পাইলটকে ঘুষি মারেন বলে দাবি করেছেন ওই রাশিয়ান অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, রেগে গিয়ে পাইলটকে ঘুষি মারার বিষয়টা মোটেও সমর্থন করেন না। সেটা পুরোপুরি ভুল। কিন্তু পাইলট যে দুর্ব্যবহার করেছেন, সেটাও সকলের জানা উচিত বলে দাবি করেছেন রাশিয়ান অভিনেত্রী।
রবিবার ইন্ডিগোর দিল্লি-গোয়া বিমানে (৬ই-২১৭৫) কীভাবে সেই ঘটনা ঘটেছে, সেটার পুরো ব্যাখ্যাও দেন ইভজেনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন, 'টিমের সঙ্গে দিল্লি থেকে গোয়া যাওয়ার কথা ছিল আমার। সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে বিমান ছাড়ার কথা ছিল। ওরা সকাল ছ'টার মধ্যে বিমানবন্দরে চলে এসেছিল। ওরা আগেই চলে এসেছিল। তারপর প্রতি ঘণ্টায় ইন্ডিগোর তরফে বলা হতে থাকে যে বিমান ছাড়তে এক ঘণ্টা দেরি হবে, বিমান ছাড়তে দু'ঘণ্টা দেরি হবে। এরকম করতে-করতে ওরা আমাদের ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছিল। তারপর ওরা (ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ) বলে যে যাত্রীরা বিমানে উঠতে পারেন। সেইমতো যাত্রীরা বিমানে উঠে পড়েন।'
রাশিয়ান অভিনেত্রী দাবি করেন যে সেখানেই হেনস্থার শেষ হয়নি। তিনি বলেন, 'আর সেখানে ইন্ডিগো দু'ঘণ্টা অপেক্ষা করিযে রাখে (ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ)। তাই যাত্রীরা অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। আর অবশ্যই তাঁরা ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করছিলেন। বিমানকর্মীদের প্রশ্ন করছিলেন যে কেন এরকম হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে, কখন আমাদের বিমান ছাড়বে। তারপর ওই পাইলট এসে বলেন যে আপনারা বড্ড বেশি প্রশ্ন করছেন। আপনাদের কারণে আমরা (ওড়ার) সুযোগ ফস্কে ফেলেছি। আপনাদের কারণে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।'
তিনি যোগ করেন, ‘আদতে উনি (পাইলট) যাত্রীদের দোষারোপ করতে থাকেন যে যাত্রীদের কারণেই এত দেরি হয়েছে। অবশ্যই পাইলটকে মেরে দেওয়াটা ঠিক হয়নি - ১০০ শতাংশ। তা নিয়ে আমি একমত। কিন্তু (এটাও মাথায় রাখতে হবে যে) উনি (পাইলট) কেন যাত্রীদের উপর দোষ চাপাচ্ছিলেন।’ উল্লেখ্য, ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে যে ওই যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই পাইলট এবং বিমানকর্মীরা।