Russian Spy Service: ৬০ ইসলামি সন্ত্রাসবাদীকে লালন-পালন করছে আমেরিকা! উদ্দেশ্য কী? বিস্ফোরক দাবি রুশ গুপ্তচর বাহিনীর

গুপ্তচর সংস্থার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার উত্তরের ককেসাস এলাকা ও মধ্য এশিয়া থেকে বেছে বেছে এই সন্ত্রাসবাদীদের জড়ো করছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিদেশ সম্পর্কিত গুপ্তচর বাহিনী যাকে এসভিআর নামে চেনা যায়, তাদের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে ধীরে ধীরে তৈরি করছে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের, আর এর লক্ষ্য হল রাশিয়ার ওপর হামলা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  (Mikhail Metzel, Sputnik, Kremlin Pool Photo via AP) (AP)

রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝেই মস্কো, ওয়াশিংটনের ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত। এদিকে, সেই পরিস্থিতির মধ্যে এবার রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা দাবি করছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লালন পালন করছে ইসলাম ধর্মাবলম্বী উগ্রপন্থীদের। আর এই সন্ত্রাসবাদীদের তৈরি করার নেপথ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা সূত্রে। রাশিয়ার ফরেন স্পাই এজেন্সি দাবি করছে, রাশিয়ায় হামলা চালাতেই ওই সন্ত্রাসবাদীদের তৈরি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার বিদেশ সম্পর্কিত গুপ্তচর বাহিনী যাকে এসভিআর নামে চেনা যায়, তাদের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে ধীরে ধীরে তৈরি করছে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের, আর এর লক্ষ্য হল রাশিয়ার ওপর হামলা। উল্লেখ্য, এই গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন ও সারজেই নারিস্কিন। এককালে এই গুপ্তচর সংস্থা ছিল সোভিয়েত যুগের কেজিবির অংশ। সেই গুপ্তচর সংস্থার দাবি, ৬০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নিয়ে চলছে এই প্রশিক্ষণ পর্ব। রাশিয়ার দাবি, আইএস জঙ্গি, আল কায়েদার থেকে এই বিশেষ সন্ত্রাসবাদীদের বেছে নিয়েছে আমেরিকা। গুপ্তচর বাহিনীর আরও দাবি, সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও গুপ্ত বেস-এ এই প্রশিক্ষণ চলছে। গুপ্তচর সংস্থা বলছে, ‘তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে।’ এটাও বলা হয়েছে,'কূটনীতিবিদ, সরকারি আমরা, আইনরক্ষাকারী অফিসার, সেনার অফিসারদের' যাতে টার্গেট করা হয়, এমনই দাবি রুশ গুপ্তচর বাহিনীর ওই রিপোর্টে। ( ত্রিপুরার ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ে চমক কি আনতে পারে মোথা পার্টি? সমীকরণ একনজরে)

গুপ্তচর সংস্থার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার উত্তরের ককেসাস এলাকা ও  মধ্য এশিয়া থেকে বেছে বেছে এই সন্ত্রাসবাদীদের জড়ো করছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, রাশিয়ার সারজেই নারিশকিনের সঙ্গে সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নসের গত বছর আঙ্কারাতে একটি বৈঠক হয়। এদিকে, সেই ঘটনার সঙ্গেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। যে হামলায় অস্ত্র সহযোগে আমেরিকা ইউক্রেনের পাশে থাকলেও, সেনার সহযোগিতায় ইউক্রেনের পাশে দেখা যায়নি শক্তিধন আমেরিকাকে। এরপরই উঠে আসে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।