বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য রাজস্থান স্পিকার যে নোটিস জারি করেছেন বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতাদের, তার বিরুদ্ধে রাজস্থান হাই কোর্টে গেল সচিন পাইলট শিবির। তবে বেলা তিনেটের সময় এই মামলা ওঠার পরেই তা মুলতুবি হয়ে যায়। সচিন শিবিরের প্রতিনিধিত্ব করেন মুকুল রোহাতগি ও হরিশ সালভে। পরে ফের সাড়ে পাঁচটায় শুনানি হয় যখন দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলা শুনবে বলে জানান বিচারপতি। সন্ধ্যা ৭.৩০ টার সময় শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। শুক্রবার হবে শুনানি।
প্রথমে বিধায়ক পিআর মিনার দায়ের করা এই মামলা শোনা হয় বিচারপতি সতীশ শর্মার আদালতে। সরকার পক্ষের হয়ে কৌসুলী ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। এদিন শুনানির শুরু হওয়া মাত্রই আবেদনকারীর আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন যে তাদের একটু সময় লাগবে। পিটিশনটি বদলে যেই আইন অনুযায়ী বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে সেটি চ্যালেঞ্জ করার কথা বলেন আবেদনকারীর কৌসুলী। সেই দাবি মেনে নেয় আদালত। রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এক বিচারপতির জায়গায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ যেন এই মামলার শুনানি করে। পরে সংশোধিত পিটিশন জমা দেওয়ার পরে দুই সদস্যের বেঞ্চ শুনানি করবে বলে জানায় আদালত। কিন্তু আজ আর বেঞ্চ বসেনি।
গতকাল স্পিকার সিপি যোশী সচিন পাইলট সহ ১৯ জনকে নোটিস পাঠান। সংবিধানের দশম সিডিউলের আওতায় বিধায়ক পদ বাতিল করার জন্য এই নোটিস পাঠানো হয়। এই নোটিস পাঠান স্পিকার সিপি যোশী। আগামীকাল সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার।
এতে বলা হয় যে এই বিধায়করা ষড়যন্ত্র করেছিলেন নির্বাচিত কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার। হুইপ জারি করা সত্ত্বেও কংগ্রেস বিধায়ক দলের দুটি বৈঠকে এরা উপস্থিত ছিলেন না। সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।