সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল রাষ্ট্রপতির কাছে। তফসিলি কমিশনের সদস্যরা বৃহস্পতিবার এলাকায় যান। তাঁরা কথা বলেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। সেই সব নিয়ে তৈরি একটি রিপোর্ট তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা দেখা করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মর সঙ্গে। তাঁর হাতে তুলে দেন সেই রিপোর্ট। রিপোর্ট কী রয়েছে সে বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তপসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে যায় একটি প্রতিনিধি দল। কমিশনের দাবি, তাঁদের কাছে মহিলারা জানান, রাতে তাঁদের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া। গভীর রাত অবধি মিটিং করত নেতারা। তাঁদের অত্যাচারও করা হতো বলে অভিযোগ করেছেন অনেক। পুলিশ সবটা জানা সস্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু মহিলারা নন, পুরুষদেরও মারধর করা হত বলে কমিশনের কাছে অভিযোগ এসেছে।
সন্দেশখালি ঘুরে আসার পর কমিশন জানায় তাঁরা একটি রিপোর্ট তৈরি করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে। সেই অনুযায়ী রিপোর্ট নিয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মর কাছে জমা দিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ঘুরে এসে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন রাজ্যপালও। এলাকা ঘুরে আসার পর তিনি সোজা রওনা দেন দিল্লি। কী কারণে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল তা না জানা গেলেও, মনে করা হচ্ছে ওই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দিতেই গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পরে দিল্লি থেকে ফিরে এসে জানান, কোনও রিপোর্টই কারও কাছে জমা করেননি। তিনি রাজ্যের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। তিনি সন্দেশখালি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করার জন্যও রাজ্যকে পরামর্শ দেন। শাসকদলের পক্ষ থেকেও রাজ্যপালকে বলা হয়,রিপোর্ট যেন 'একতরফা' না হয়।
পড়ুন। ‘টাকা না পাওয়া গেলে ১ মে থেকে আবাস হবে নিজেদের অর্থেই’, বিধানসভায় ঘোষণা মমতার
বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকাল পুলিশ
শুক্রবার সকালে বিজেপির ৬ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশাখালির দিকে রওনা দেয়। কিন্তু সন্দেশখালি পৌঁছনোর আগেই ধামাখালির রামপুরে তাদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ বলে, সন্দেশখালিতে এখন ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে এতজনকে একসঙ্গে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না।
এর পরই পুলিশের সঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের বচসা বেঁধে যায়। পরে বিজেপির প্রতিনিধি দল বলে, তাঁরা সকলে যাবেন না। কিন্তু তা স্বত্বেও পুলিশ তাদের ঢুকতে দেয়নি। ৪ জন মহিলা প্রতিনিধি যেতে চাইলেও অনড় থাকে পুলিশ। পরে ৪ জন থেকে কমিয়ে ২ জন যেতে চাইলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি।