দলবিরোধী কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত সঞ্জয় ঝা

প্রত্যাশিত ভাবেই সঞ্জয় ঝা-কে বহিষ্কার করল কংগ্রেস। কিছুদিন ধরেই কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলছিলেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা। এর ফলে প্রথমে মুখপাত্র পদটি খোয়ান তিনি। এবার বিদ্রোহী সচিন পাইলটের পাশে এলে দাঁড়িয়ে একাধিক টুইট করায় আর রেয়াত করল না দল। শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কংগ্রেস থেকে বার করে দেওয়া হল সঞ্জয় ঝা-কে। অনেক দিন ধরেই নয়া কংগ্রেস গড়ার ডাক দিয়েছিলেন সঞ্জয় ঝা। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির যখন বাছাই হবে, তখন তিনিও সদস্য হওয়ার জন্য নাম দেবেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন যে যোগ্য লোকদের ঠিক করে সুযোগ দিচ্ছে না কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই সব বলেই ক্রমশ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন সঞ্জয় ঝা। যতদিন যাচ্ছিল আরও ধারালো হচ্ছিল তাঁর আক্রমণ। কিন্তু এবার সব বাঁধ ভাঙল। কার্যত কংগ্রেসে বড় ভাঙন ধরবে এই ইশারা দিয়ে সঞ্জয় ঝা বলেন জ্যোতিরাদিত্যের পর সচিন পাইলট। এরপর কে আছে, নজর রাখুন। সচিন পাইলট তিলতিল করে ভগ্নপ্রায় কংগ্রেসকে রাজস্থানে গড়ে তুললেও তিনি যোগ্য সম্মান পাননি বলে সঞ্জয় ঝা-র দাবি। সচিনকে ছাঁটাই করে দেওয়াকে পারফরমেন্স বোনাস বলে কটাক্ষ করে দলে অস্বচ্ছতা ও মেরিটকে সম্মান দেওয়ার অভাবের কথা তুলে ধরেন তিনি। একসময়ের সফল পেশাদার সঞ্জয় ঝা বিগত কিছু বছরে টিভিতে কংগ্রেসের পরিচিত মুখ হিসাবে উঠে এসেছিলেন। যে ইস্যুই হোক, এসে কংগ্রেসকে ডিফেন্ড করার দায়িত্ব তাঁর ওপর ছিল। কিন্তু যেভাবে দল ক্রমশই আরও তলানিতে চলে যাচ্ছিল, সেটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই প্রকাশ্যেই সমালোচনার পথ বেছে নেন তিনি। তার মাশুল দিলেন এবার।