অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠল সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের বিরুদ্ধে। সম্পরতি এই বিস্খোরক অভিযোগ মিলেছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সৌদি যুবরাজের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো ভিডিয়ো ফাইল ডাউনলোডের সূত্র ধরে বেজোসের ব্যক্তিগত তথ্য হাতানো শুরু হয়।
তবে কী তথ্য চুরি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানাতে পারেনি সংবাদসংস্থা। তবে এই সংবাদ প্রকাশের বছর খানেক আগে আচমকা ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ করার ঘোণা করেন জেফ বেজোস ও তাঁর স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি। একই সঙ্গে ফাঁস হয় বেজোসের সঙ্গে প্রাক্তন টিভি সঞ্চালিকা লরেন স্যাঞ্চেজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। গোপন প্রণয়ীদের মধ্যে চালাচালি হওযা মোবাইল মেসেজের ভিত্তিতেই প্রথমে এই খবর প্রচার হয়।
এর জেরে একটি ব্লগ পোস্ট করে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আরও ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ মেসেজ ফাঁস করার বিষয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনেন বেজোস। তিনি জানান, প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে তথ্য ফাণসের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, এই ঘোষণা করার জন্য তাঁকে নিরন্তর চাপ দেওয়া হয়।
বেজোসের অন্যতম নিরাপত্তা উপদেষ্টা গ্যাভিন ডি বেকার পরে জানান, রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগে সৌদি সরকার বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাক করে তথ্য হাতিয়েছিল বলে তিনি বিশ্বাস করেন। নিজের দাবির সপক্ষে তিনি কোনও প্রমাণ দাখিল করেননি সেই সময়, তবে ওই সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সৌদি সরকারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন।
এমনকি, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের যুবরাজকে জড়ানোর জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর হাত রয়েছে বলে এক সময় প্রচার করেছিল এই সংস্থা, এমন কথাও বলেন ডি বেকার। তবে তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে গত ৯ মাসে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি অ্যামাজন।