VKYC অর্থাৎ ‘Video Know Your Customer’ প্রকল্প লঞ্চের ঘোষণা করল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কটি জানিয়েছে, SBI কার্ডস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই প্রক্রিয়া লঞ্চ করা হবে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল এন্ড-টু-এন্ড পেপারলেস, ডিজিটাল সোর্সিং এবং গ্রাহক সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা। আবেদনকারীর পরিচিতির সত্যতা যাচাই ও নিশ্চিত করতে এই VKYC পদ্ধতিতে জিও ট্যাগিং, ফেসিয়াল রেকগনিশন-সহ নানান ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
SBI-এর VKYC পদ্ধতি সম্পর্কে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে দেওয়া রইল—
১) SBI-র VKYC প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, সরাসরি যোগাযোগহীন, ঝামেলা-মুক্ত, গ্রাহক সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করা।
২) SBI-র মতে, VKYC জালিয়াতি হ্রাস করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি KYC প্রক্রিয়ার জন্য যে মূল্য দিতে হয়, তা-ও প্রায় অর্ধেক কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
৩) RBI-র গাইডলাইনের বাধ্যতামূলক অংশগুলি মেনে নিয়ে, ফেসিয়াল রেকগনিশান, ডায়নামিক ভেরিফিকেশন কোড, লাইভ ফটো তোলার মতো ব্যবস্থা VKYC প্রকল্পে যোগ করা হয়েছে।
কী ভাবে কাজ করবে VKYC:
১) গ্রাহককে VKYC-র জন্য অ্যাপয়ন্টমেন্ট নিতে হবে। তার পর তাঁকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে। এই লিঙ্কে গ্রাহককে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।
২) এ ক্ষেত্রে, নিজের নাম, জন্মতারিখ, প্যান নম্বর এবং আধারকার্ড নম্বর দিতে হবে।
৩) এর পর একটি ডায়নামিক ভেরিফিকেশন কোডের মাধ্যমে SBI কার্ড অফিসারের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করা হবে।
৪) এই ভিডিও কলে গ্রাহক তাঁর প্যান কার্ড দেখাবেন। AI-সক্রিয় OCR-এর সাহায্যে প্যান ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।
৫) ভিডিও কলের সময়েই আবেদনকারীর ফটো তোলা হবে।
৬) গ্রাহক ভারতেই আছেন কি না, তা যাচাই করার জন্য লোকেশন জিও ট্যাগিং করা হবে।
৭) ই-সাইন পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদনকারী তাঁর ফর্মে ডিজিটাল সাক্ষর করবেন।
SBI জানিয়েছে, ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে ই-সাইন প্রক্রিয়ার সাহায্যে ডিজিটাল সাক্ষর গ্রহণ করা সম্ভব। গ্রাহক নিজের সম্পর্কে যা যা তথ্য দিয়েছেন, তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি PDF ফরম্যাটে অ্যাপ্লিকেশন ফর্মও পাবেন। ই-সাইন এবং অন্যান্য সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের পরে আবেদন ও কার্ডের প্রক্রিয়াকরণ শুরু হবে।