সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান যারা সরকারি সহায়তা পাচ্ছে তাদেরকে আইনের মধ্যে থেকে যাবতীয় শর্ত মেনে চলতে হবে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি সহায়তা পায় এমন সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে দেখা ঠিক হবে না বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। জাস্টিস সঞ্জয় কিষান কাউল ও এম এম সুন্দরেশ জানিয়েছেন, সরকারি আর্থিক সহায়তার কথা যখন আসে তখন কোনটা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান, কোনটা নয় এভাবে বিভাজন করাটা ঠিক নয়। আইনে নির্দিষ্টভাবে এনিয়ে বলা রয়েছে। এনিয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, কোনও সহায়তা যখন আসে, তখন শর্তের কথাও আসে। যদি কোনও সংস্থা সেই শর্ত না মানতে চায় তবে সেই গ্রান্টও কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর স্থায়ী পদগুলিকে বিলোপ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নানা কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে। এদিকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলি আদালতের কাছে আবেদনে জানিয়েছে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়মের কিছু পরিবর্তন হওয়া দরকার। না হলে সংবিধানের ৩০(১) ধারা যেখানে সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠানের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘিত হতে পারে। এদিকে ২০২০ সালের সেখ মহম্মদ রফিক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, সংখ্য়ালঘু ও সংখ্যাগুরু প্রতিষ্ঠান বলে আলাদা করাটা ঠিক হবে না। যে প্রতিষ্ঠান সরকারি সহায়তা পাচ্ছে তাকে শর্ত মেনে চলতেই হবে।