করোনা টিকা কেনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে বলে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি-র কটি ডোজ কিনেছে, তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে ফের একবার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চাইল, দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া কতদিনে শেষ করা সম্ভব?
এদিন সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে : কবে-কবে কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং স্পুটনিক ভি কেনার অর্ডার করেছে কেন্দ্র? প্রতিটি অর্ডারে কেন্দ্র কটি করে ডোজ কিনতে চেয়েছে? টিকার অর্ডারগুলি কতদিনের মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে উত্পাদনকারী সংস্থাগুলিকে?
পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, কীভাবে আলাদা আলাদা ফেজের মাধ্যমে দেশের জনগণকে টিকা দিতে চাইছে তারা। বর্তমানে কেন্দ্র টিকাকরণের যে নীতি নির্ধারণ করেছে, তা বিশদে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, এখনও পর্যন্ত দেশের কত শতাংশ জনগণ করোনা টিকা পেয়েছে। গ্রামীণ ও শহুরে জনসংখ্যার কোথায় কতটা টিকাকরণ হয়েছে, সেই তথ্য আলাদা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে করোনার পাশাপাশি সম্প্রতি দেশ জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে মিকোরমাইকসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ছত্রাক রোধক ওষুধের সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্যও কেন্দ্রের কাছে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্ত তথ্য হফনামার আকারে জমা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।