প্রথম বিয়ের কথা না জানিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে! সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রীকে কখনই বৈধ বলে গণ্য় করা হবে না। এমনটাই জানিয়েছে বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। জাস্টিস এএস চান্দুরকর ও জাস্টিস জিএ সানাপের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি তর্কের খাতিরে এটা ধরেই নেওয়া হয় যে, প্রথম বিয়ের কথা বেমালুম চেপে গিয়ে ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন সেক্ষেত্রে তিনি যে ওই ব্যক্তির বৈধ স্ত্রী এটা কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। এদিকে ২০১২ সালের ১৬ই জানুয়ারি নাগপুর আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই মহিলা হাইকোর্টেও গিয়েছিলেন। কারণ নাগপুরের ফ্যামিলি কোর্ট তাঁকে বৈধ স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি মানতে চায়নি। এদিকে হাইকোর্টে গিয়ে ওই মহিলা দাবি করেন ৬৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির সঙ্গে ২০০৩ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর তিনি পাঁচ বছর ধরে একেবারে স্বামী ও স্ত্রীর মতোই বাস করতেন। এদিকে এরপর স্বামী তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চান। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
এদিকে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, ১৯৯০ সালে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়েছিল। এরপর ওই মহিলা দাবি করছেন ২০০৩ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তিনি ডিভোর্সই তো পেয়েছেন ২০০৯ সালে। হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির দাবি মেনে নিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ওই মহিলা সেক্ষেত্রে তাঁর আইনত বৈধ স্ত্রী নন। তবে ওই মহিলাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তিনি প্রথম বিয়ের কথা জানতেন। তবে আদালত জানিয়েছে যদি প্রথম বিয়ের কথা তিনি নাও জানতেন তবুও তিনি বৈধ স্ত্রী নন।