সংবিধানের প্রস্তাবনাগুলো আদতে ‘হিন্দুত্ব’-এর প্রতিফলন। রবিবার এমনই মত প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। ভাগবত বলেন, ‘আমাদের সংবিধান যেভাবে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমাজকে ঐক্যের সুতো দিয়ে বেঁধে রেখেছে, হিন্দুত্বও তাই করে।’
মারাঠি দৈনিক ‘লোকমত’-এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখার সময় ভাগবত বলেন যে হিন্দুত্ব ভারতীয় সংস্কৃতি এবং প্রথার পাঁচ হাজার বছরের পুরানো ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সর্ব-অন্তর্ভুক্ত এবং সর্বব্যাপী সত্যকে আমরা হিন্দুত্ব বলি। এটা আমাদের জাতীয় পরিচয়। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলি, কিন্তু এটি আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে এবং আমাদের সংবিধান তৈরির আগে থেকে ছিল এবং এটি হিন্দুত্বের কারণেই ছিল।’
ভাগবত স্পষ্ট করেন যে হিন্দুত্ব শব্দটি প্রথমে গুরু নানক দেব প্রয়োগ করেছিলেন। যদিও কংগ্রেস দাবি করে থাকে যে দামোদর সাভারকর ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটি প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন। এই আবহে আরএসএস প্রধান দাবি করেন, হিন্দু হল ‘সংস্কৃতি’-র একটি নাম। মূলত আমাদের দেশের মানুষের জীবনধারা হল হিন্দুত্ববাদ। তিনি বলেন, ‘কেউই ধর্ম থেকে মুক্ত নয়। আমাদের পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করা উচিত এবং অন্য ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানের সাথে কখনও সংঘাতে লিপ্ত হওয়া উচিত না।’
এদিকে মোহন ভাগবত বলেন যে হরিদ্বার ধর্ম সংসদের অনুষ্ঠানে যেসব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা হিন্দু আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না। ভাগবত বলেন, ‘হিন্দুত্ব কোনও 'ইজম' নয়, হিন্দুত্বের ইংরেজি অনুবাদ হল হিন্দুত্ব। এটি প্রথম উল্লেখ করেছিলেন গুরু নানক দেব। রামায়ণ, মহাভারতে এর উল্লেখ নেই। হিন্দু মানে কোনও সীমাবদ্ধ জিনিস নয়, এটি গতিশীল। অভিজ্ঞতার সাথে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় হিন্দু।’