রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে প্রশ্ন করল, আপাতত কি কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে এই আইনের অধীনে যাবতীয় মামলা স্থগিত রাখার জন্য বলা হবে? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে সময় চাওয়া হয় শীর্ষ আদালতের তরফে। সেই আর্জি মেনে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিল এই প্রশ্নের জবাব দিতে। আগামিকালের মধ্যে কেন্দ্রকে জানাতে হবে যে এই আইনের অধীনে বিচারাধীন বর্তমান মামলাগুলির কী হবে।
এর আগে গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছিল, নতুন করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার (রাষ্ট্রদ্রোহ আইন) পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন নেই। যদিও সোমবার শীর্ষ আদালতে নরেন্দ্র মোদী সরকার জানায়, স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, যদি আইনের বৈধততা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়, সেই সময়কালে এই আইনের অধীনে বিচারাধীন মামলাগুলির কী হবে? এদিকে কেন্দ্রের আর্জি মেনে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে আইনের বৈধতা পুনর্বিবেচনা করা হলে এই নিয়ে ফের শুনানি হবে।
এর আগে সোমবার এই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে ঔপনিবেশিক বোঝা ঝেড়ে ফেলার লক্ষ্য স্থির করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সেই অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্রিটিশ আমলের বিভিন্ন আইন পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে যে বিভিন্ন মতামত উঠে আসছে, সে বিষয়ে কেন্দ্র অবহিত। নাগরিকদের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, তাও বিবেচনা করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে 'উপযুক্ত ফোরামের' সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।