লাইনচ্যুত হয়ে গেল একটি মালগাড়ির একাধিক বগি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জংশনের কাছে। যদিও সেই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি বা বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে রেলের। ঘটনার খবর পেয়ে রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালগাড়িটিকে রেল লাইন থেকে সরানো কাজ শুরু করেন। এর ফলে ওই লাইনে দীর্ঘক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় লাইনচ্যুত ট্রেন, সকাল সকাল কোন রুটে ব্যাহত রেল পরিষেবা?
রেল সূত্রের খবর, মানকাপুর-অযোধ্যা ধাম রেল লাইনের কাটরা-রামঘাট হল্ট এবং অযোধ্যার মধ্যে মালগাড়ির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। গোন্ডা জংশনের সিনিয়র স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট আর এস মীনা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গোরখপুর থেকে অযোধ্যাগামী আপ-বিসিএম মালগাড়ির ৪ টি বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে রেল চলাচলও ব্যাহত হয়। উদ্ধারকারী দলের প্রচেষ্টায় রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি টান্ডা থেকে বারাবাঙ্কি যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার ফলে অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে বারাণসী রুটে পুরোপুরি ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সব জায়গায় থেমে যায় একাধিক এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন। রেলের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই রুটে যাতে ট্রেনের ভিড় না থাকে, সেজন্য লুপ লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। তবে এর জেরে বারাণসী রুটে আটকে পড়ে কয়েক ডজন যাত্রীবাহী ট্রেন। মালগাড়িটি এমনভাবে লাইনচ্যুত হয় যে দুটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মালগাড়িতে পণ্য ভরতি থাকায় সেটি সরিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে দুটি লাইন থেকে মালগাড়ির লাইনচ্যুত বগি সরাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন উদ্ধারকারীরা।
দুর্ঘটনার ফলে বারাণসী, দর্শন নগর এবং কাটরা রুটের ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। লখনউ রুটেও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বাদশা নগর রেলওয়ে স্টেশনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা দেয়। কাইফিয়াত এক্সপ্রেস, গঙ্গা সাতলুজ এক্সপ্রেস, মরুধর এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। প্রচণ্ড গরমে ট্রেনগুলি মাঝপথে থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা চরম অস্বস্তিতে পড়েন। জলের জন্য যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উত্তর রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে সমস্ত ট্রেনের সময় বদলাতে হয়েছে। বহু ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছয়।