পটি করার সময় গোপন অঙ্গ দিয়ে পেটের মধ্যে সাপ ঢুকেছে, যুবকের দাবিতে হইচই হাসপাতালে

যেদিন মহেন্দ্র নামে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন পাড়ার লোকজনও হাসপাতালে চলে আসেন। একেবারে ভিড় জমে যায় হাসপাতালে। সকলেই চাইছিলেন হয়তো চিকিৎসক পেটের ভেতর থেকে সাপ বের করবেন।

চিকিৎসক রোগীকে সবরকমভাবে পরীক্ষা করেন। প্রতীকী ছবি (Freepik)

উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালে সম্প্রতি এক যুবক আজব এক সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে যে সব কথা বলেছিলেন তাতে তো একেবারে আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। তিনি হাসপাতালে গিয়ে বলেন তাকে সাপে কামড়েছে। আর সেই সাপ গোপন অঙ্গের মধ্য়ে দিয়ে পাকস্থলীতে চলে গিয়েছে সেই সাপ। এদিকে যুবকের মুখে একথা শুনে হতবাক স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে কি পেটের ভেতর সাপ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই যুবক?

এদিকে তিনি বাড়িতেও একেবারে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়েই তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন পরিজনরা। এরপর সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে নানাভাবে পরীক্ষা করেন। কিন্তু সাপের কোনও লক্ষণ দেখা যায় নি। এরপর কিছুটা হলেও স্বস্তি পান বাড়ির লোকজন।

এদিকে পরিবার সূত্রে খবর, তিনি যখন বলেছিলেন তার পেটের মধ্যে সাপ ঢুকে গিয়েছে তখনও তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এদিকে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে চিকিৎসকরা জানতে পারেন ওই যুবক মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। নেশায় আসক্ত ওই যুবক।

এদিকে যেদিন মহেন্দ্র নামে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন পাড়ার লোকজনও হাসপাতালে চলে আসেন। একেবারে ভিড় জমে যায় হাসপাতালে। সকলেই চাইছিলেন হয়তো চিকিৎসক পেটের ভেতর থেকে সাপ বের করবেন। পাড়ার লোকজনও চিকিৎসককে জানান, মলত্যাগ করার সময় তাকে সাপে কামড়েছে। আর সেই সাপ তার পেটের মধ্যে চলে গিয়েছে। শরীরের গোপন অঙ্গ দিয়ে সেই সাপ ভেতরে চলে গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন যুবক।

তবে চিকিৎসকরা প্রথম দিকে একথা বিশ্বাস করতে চাননি। পরে পরিবারের লোকজনের চাপে চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু চিকিৎসা করে, পরীক্ষা করে কিছুই পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ শের সিং জানিয়েছেন, ওই যুবক মনে হয় নেশায় আসক্ত ছিলেন। তিনি মাদকে আসক্ত ছিলেন। তার পেটে ব্যাথা হচ্ছিল। তা থেকেই তার ধারনা হয় পেটের মধ্যে সাপ ঢুকে গিয়েছে। নেশার ঘোরে সে গল্প সাজাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করে কিছুই পাওয়া যায়নি।

মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ দেশদীপক জানিয়েছেন, ওই যুবক যে দাবি করছিলেন তা ঠিক নয়।