ঘুষ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বড়সড় অভিযোগ উঠল। স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বিষয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যসচিবকে, বলে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দাবি করেছে। দাবি, সদ্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি চিঠি লেখেন বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে। এও দাবি করা হয় যে সাফ ভাষায় গড়করি জানান, যে সমস্ত আরটিও চেকপোস্টে ঘুষের অভিযোগ আসছে, সেখানের সংশ্লিষ্ট আরটিও অফিসারদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শুধু যে মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তা নয়। খোদ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাদ সিং চৌহান, তাঁর মন্ত্রকের পরিবহন মন্ত্রী গোবিন্দ সিং রাজপুতকেও চিঠি লিখে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন নীতিন গড়করি। এমনই দাবি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের। ঘটনা ১৬ জুলাইয়ের। এমনই দাবি করে এই পুরো ঘটনা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছে কংগ্রেস। যদিও সংশ্লিষ্ট অফিসাররা এমন কোনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন। এদিকে, বলা হচ্ছে পূর্ব নাগপুরের বিজেপি সচিবের চিঠি এই ঘুষের অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফ থেকে পদক্ষেপ করা হয়। দাবি করা হচ্ছে, নীতিন গড়করির চিঠিতে লেখা রয়েছে যে, যে ট্রাককে আরটিও অফিসে ধরা হচ্ছে, তার কাছে বৈধ নথি থাকলে তাকে আটকানোর কোনও বিধি নেই। চালক ও খালাসিকে অযথা বিরক্ত করা নিয়েও ক্ষোভ উঠে আসে নীতিন গড়করির চিঠিতে। 'অগ্নিপথ' এর ফর্মে ধর্ম-জাতির কলাম নিয়ে খোঁচা বরুণ গান্ধীরও! কী জানাল সেনা?
এদিকে, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, যে এমন চিঠি তারা পেয়েছে। তবে এই চিঠি নিয়ে বহু ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। যদিও মুখ্যসচিবের দফতর জানিয়েছে, তারা এমন কোনও চিঠি পায়নি। ওদিকে, বিষয়টি নিয়ে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির পারদ তুঙ্গে রেখেছে কংগ্রেস। দুর্নীতি ইস্যুতে তারা এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ করছে। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য এখনও আসেনি আনুষ্ঠানিকভাবে। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বহু।