কংগ্রেসের হাইকমান্ড থেকে বারেবারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবার এড়িয়ে গিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। এমনই দাবি করলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।
গত কয়েকদিনের টানা নাটকের পর মঙ্গলবার পাইলটকে উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সুরজেওয়ালা দাবি করেন, গত ৭২ ঘণ্টায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে উদ্যোগী হন। কিন্তু রাজস্থান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নাকি কোনও উত্তর দেননি।
সুরজেওয়ালা দাবি করেন, কম বয়সেই পাইলটকে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। যিনি সোনিয়ারও অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। সোনিয়ার ‘আশীর্বাদ’-ও ছিল পাইলটের উপর। তা সত্ত্বেও বিজেপির সঙ্গে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন পাইলট এবং কয়েকজন মন্ত্রী।
মেরেকেটে ২৪ ঘণ্টা আগেই পাইলটের প্রতি ‘ভালোবাসা’-র ঝাঁপি উপুড় করে দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় এমন কী হল, যাতে পাইলটকে বরখাস্ত করতে হল? বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাদের দাবি, পাইলট এমন তিনটি দাবি রেখেছিলেন, তা মেনে নেওয়া অসম্ভব ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কিছু করার ছিল না।