২০১৯-২০ সালের ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে। আর সেই সমীক্ষায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য়। এমনতেই মদ নিষিদ্ধ বিহারে। তবে তাতে পারিবারিক হিংসায় অবশ্য় কোনও বিরাম নেই। মাঝেমধ্য়ে মদ খান এমন ৮৩ শতাংশ স্বামী স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে বলে পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে স্বামীরা মাঝেমধ্যে মাতাল হয়ে যান তারা স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেন, ৪৩ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যারা মদ্যপান করেন কিন্তু মাতাল হন না তারাও স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেন। ৩৪ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কখনও মদ্যপান করেন না কিন্তু তবুও স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেন।
ইন্টারন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন সায়েন্সের প্রফেসর এসকে সিং জানিয়েছেন, ১৫ শতাংশ বিবাহিতা জানিয়েছেন তাঁদের স্বামীরা মদ্যপান করেন। এই সংখ্যা অন্য়ান্য রাজ্যের তুলনায় যথেষ্ট কম যেহেতু বিহারে মদ নিষিদ্ধ। ২০১৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল থেকেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, নেপাল থেকে তাঁদের স্বামীরা মদ নিয়ে আসেন।
প্রফেসর সিং জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ও দেশ থেকে কিছু মদ বিহারে আসে। বাকিটা দেশি মদের উপর অনেকে নির্ভরশীল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দাম্পত্য হিংসায়(১৮-৪৯ বছর বয়সীদের মধ্য়ে) ৪০ শতাংশ মহিলা অত্যাচারের শিকার। বিহারের এই স্থান কর্ণাটকের পরেই। কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে বিহার ও মণিপুরে ৪০ শতাংশ মহিলা দাম্পত্য হিংসার শিকার। তবে ২০১৫-১৬এর তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে দেখা যাচ্ছে যে স্বামীরা কোনওদিন স্কুলে যায়নি তাদের মধ্যে বউ পেটানোর প্রবণতা বেশি।