আর্থিক লোকসানে জেরবার সেদেশে। দেখতে দেখতে এক মাসের মধ্যে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগিয়েছে। আর্থিক সংকটে জেরবার সেদেশ ইতিমধ্যেই নিজেকে ঋণখেলাপী বলে জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেদেশে আর্থিক সংকট যখন জাতীয় রাজনৈতিক সংকটের আকার নিয়েছে তখনই শ্রীলঙ্কার তখতে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এসেছেন রনিল বিক্রমেসিংঘে।
দায়িত্ব নিয়েই শ্রীলঙ্কার জাতীয় বিমান সংস্থা শ্রীলঙ্কার এয়ারলাইন্সকে বেসরকারিকরণের পথে এগিয়েছেন রনিল বিক্রমেসিংঘে। উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শ্রীলঙ্কা ৪৫ বিলিয়ন টাকার লোকসান করেছে। যার জেরে দেশ ক্রমাগত আর্থিকভাবে দুর্বল হয়েছে। পঙ্গু হয়েছে সেদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ। এরপর নানান রাজনৈতিক সংকট পার করে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘে বসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে। পদ ছাড়েন মহিন্দা রাজাপাকসে। এদিকে পদে বসেই জাতীয় বিমান সংস্থার বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে রনিল বলেন, 'এই আর্থিক দুর্ভোগের দায়ভার দরিদ্র থেকে দরিদ্রতমরা নেবে তা হয়না, যাঁরা কোনওদিনও বিমানেই চড়েননি'। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সুস্থির করতে টাকা ছাপানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিক্রমাসিংঘে জানিয়েছেন, তিনি টাকা ছাপানোর জন্য নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছেন, কারণ বেতন দেওয়ার জন্যও টাকার অভাব ছিল। এদিকে, এই টাকা ছাপালে দেশের মুদ্রাস্ফীতি যে প্রভাবিত হবে তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক দিক থেকে যাবতীয় সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন বিক্রম সিংঘে। যার পরিণাম কোনদিকে যায় সেদিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মাস হতে চলেছে।'তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির সংকট সমাধানে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নিতে হবে।