করোনা টিকার আকাল নিয়ে সরব পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্য। তবে এরই মাঝে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্যগুলির হাতে এখনও ১ কোটি করোনা টিকার ডোজ রয়েছে। এবং কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, আগামী তিনদিনের মধ্যে রাজ্যগুলিকে আরও ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে।
এদিন একটি বিবৃতির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, 'রাজ্যগুলির কাছে এখনও ১ কোটির বেশি (১,০৬,০৮,২০৭) করোনা টিকা রয়েছে। এছাড়াও ২০ লক্ষের বেশি (২০,৪৮,৮৯০) টিকা আগামী তিনদিনের মধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাঠানো হবে।' পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে এদিন জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত বিনামূল্যে ১৬.১৬ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে দেশ জুড়ে।
কেন্দ্রের এই ঘোষণা এমন একটি সময় করা হল যখন ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি বারবার করোনা টিকার অভাব নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। পাশাপাশি এই রাজ্যগুলির দাবি, কেন্দ্রের ঘোষণা মতো ১ মে থেকে শুরু হতে চলা তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু করা সম্ভব হবে না।
কেন্দ্র জানিয়েছে, ২৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রকে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৭০টি ডোজ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এগুলির মধ্যে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ১২ হাজার ৫১০টি ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে। এখনও রাজ্যের হাতে ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৬০টি ডোজ থাকার কথা।
উল্লেখ্য, এর আগে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে দাবি করেছিলেন, ১ মে থেকে পূর্ণাঙ্গ রূপে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, 'টিকা দেওয়ার জন্য আমাদের সমস্ত অবকাঠামো রয়েছে তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের ভ্যাকসিন নেই। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সাথে কথা বলছেন। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণেন জন্য আলাদা কেন্দ্র থাকবে।'
অক্সিজেনের ঘাটতির অভিযোগ নিয়েও বক্তব্য পেশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের দাবি, দেশে আগেও পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন ছিল। এখন আরও বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে অক্সিজেনের জোগান সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। যাঁদের অক্সিজেন প্রয়োজন, তাঁদের অক্সিজেন দেওয়া জরুরি। কিন্তু অক্সিজেনের অভাব রয়েছে, এসব ভেবে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়।