নেতাজি সুভাচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় ছুটির দাবি বহুদিনের। এই আবহে এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদাল। আবেদনকারীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘এটা ভারত সরকারের ব্যাপার। সুপ্রিম কোর্ট কী করবে? আদালতের এক্তিয়ারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন।’ শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, বিচার বিভাগ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
জাস্টিস চন্দ্রচূড় আরও বলেন, ‘দেশের প্রতি নেতাজির অবদান স্মরণ করার সেরা উপায় হল কঠোর পরিশ্রম করা, ছুটির সংখ্যা বাড়ানো নয়।’ আবেদনকারীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোনও কিছুর ইচ্ছে থাকলেই তা নিয়ে বিচারবিভাগের কাছে আসা যায় না। আপনি নীল আকাশ পছন্দ করতে পারেন। তবে সেটা চাইতে তো আপনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন না। এটা জনস্বার্থ মামলার নামে উপহাস। যে তিন মিনিট আমরা আপনার আবেদনের পিছনে ব্যয় করলাম, সেই সময়ে অন্য কোনও আবেদনকারী স্বস্তি পেতে পারতেন। আবেদন জমা দেওয়ার আগে আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, বিষয়টির মীমাংসা করার মতো এক্তিয়ার আদালতের আছে কি না।’
এদিকে শীর্ষ আদালতের সামনে আবেদনকারীর দাবি ছিল, শিশু দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমার মতো দিনগুলিতে ছুটি উদযাপন করা হয়, তাহলে নেতাজির জন্মদিন কেন জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষিত হবে না? উল্লেখ্য, এর আগেও বহু ব্যক্তি এবং সংগঠনের তরফে ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছিল। আগের বছরই নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।