ফের একবার বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেক সর্কবার্তা শুনতে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'কলেজিয়াম উচ্চ বিচার ব্যবস্থায় যাদের নিয়োগ করার সুপারিশ করছে, তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে বিচারপতিদের নিয়োগ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা খুবই সমস্যাজনক।' এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বলে, 'আমরা আশা করি এমন পরিস্থিতি আসবে না যেখানে এই আদালত বা কলেজিয়ামকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা সরকারের ভালো নাও লাগতে পারে।' (আরও পড়ুন: 'ক্ষমা চাইছি', যৌন সঙ্গমের সময় বীর্যপাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য 'ফেরালেন' নীতীশ)
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম বনাম সরকারের সংঘাত জারি বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বারংবার এই বিরোধ সামনে এসেছে। এমনকী আইনমন্ত্রী থাকাকালীন কিরেণ রিজিজু নিজে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে কলেজিয়ামের বহু সুপারিশ 'পড়ে রয়েছে'। এই আবহে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে সতর্ক করল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: সকালে ঘুম ভাঙতেই পকেট হল 'ভারী', কালীপুজোর আগে ডিএ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
এর আগে গত অক্টোবর মাসেও এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের 'ধমক' শুনতে হয়েছিল সরকারকে। সেদিন শুনানিন সময়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, কলেজিয়ামের অনেক সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত ৯ মাস ধরে এমনটা হয়ে আসছে। এই আবহে আদালতকেই কেন্দ্রের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতে হচ্ছে। বেঞ্চের তরফে বলা হয়, বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টির ওপর সুপ্রিম কোর্টের নজরদারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত ১ মাসে ১২ জনেরও বেশি বিচারপতিকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। তবে কলেজিয়ামের সুপারিশগুলি থেকে বেছে বেছে নিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে।
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, 'এভাবে বাছাই করে কাউকে নিয়োগ করলে তাতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। একজনকে নিয়োগ করা হল, অপরজনকে করা হল না, এতে সিনিয়রিটির দিক দিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এই কারণেই অনেক ভালো প্রার্থী এখন বিচারপতি হতে সম্মত হচ্ছেন না।' এদিকে বিচারপতিদের বদলি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন করেছিলেন, 'কেন্দ্র কেন এমন (সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ না করে বিলম্ব) করছে? এই সব নিয়োগের ক্ষেত্রে আলোচনা করা হয়। এর একটা প্রক্রিয়া আছে। তবে বদলির ক্ষেত্রে তো উল্লেখিত ব্য়ক্তি ইতিমধ্যেই একজন বিচারপতি আছেন। সেখানে দেরি কেন করা হচ্ছে? সরকার এখন পদক্ষেপ করছে ঠিকই। কিন্তু আরও তৎপরতা প্রয়োজন।'