সীমা হায়দার ইস্যুতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল এসএসবি। ইন্দো নেপাল সীমান্তে একটি বাসে চেপে ভারতে এসেছিল সীমা। সঙ্গে চার সন্তান ছিল। এদিকে সেই বাসটি সেদিন তল্লাশির ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ। তার জেরে এবার এক ইনস্পেক্টর ও এক জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। ইনস্পেক্টর সুজিত কুমার ভার্মা ও হেড কনস্টেবল চন্দ্র কুমার কালিতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারা এসএসবির ৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অন্তর্গত। উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে ইন্দো নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে এসেছিল।
সীমা তার চার সন্তানকে নিয়ে ওই বাসেই ছিলেন। এদিকে সেদিন কারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছেে।
তবে এসএসবির পক্ষ থেকেও এনিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। তবে এসএসবির তরফ থেকে কোনও বক্তব্য মেলেনি। সূত্রের খবর, ওই সীমা বা তার সন্তানদের কাছে কোনও ভিসা ছিল না। তারপরেও তারা চোখ এড়িয়ে যায়।
পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতের সচিন মীনার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পাকিস্তানের বধূ সীমা হায়দারের। এরপরই তিনি ভারতে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো তিনি অবৈধভাবে ভারতে চলে আসেন। তবে পরে গত ৪ ঠা জুলাই সীমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সচিনকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ৭ জুলাই তারা জামিন পান।
এদিকে সীমা ভারতে আসার পরে নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। সীমার মূল মতলব কী তা নিয়ে নানা সংশয় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানি চর কি না তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে উত্তরপ্রদেশ এটিএস অবশ্য় তাকে বার বার জেরা করেছে। নজরদারিও চালাচ্ছিল পুরোদমে। তবে ইতিমধ্যেই সিনেমায় অভিনয়ের অফার পেয়েছেন সীমা। তবে এটিএসের সম্মতি না পেলে তিনি সিনেমায় নামবেন না বলে খবর। এমনকী আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করার ব্যাপারে একটি বিশেষ দল চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর।
তবে সীমা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তিনি সচিনকে ভালোবেসে এসেছেন। তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আবার সীমা ও সচিন, দু'জনই দাবি করেন, 'গদর' সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে ততই সীমার সম্পর্কে নতুন নানা তথ্য সামনে আসছে। উত্তরপ্রদেশ এটিএস জেরা করেছে সীমা আর সচিনকে। সেখানে সীমা স্বীকার করে নেন, তার এক ভাই পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে রয়েছে। সীমার প্রথম পক্ষের স্বামী গুলাম হায়দারও এর আগে দাবি করেছিলেন, সীমার ভাই আসিফ ও তার কাকা গুলাম আকবর পাক সেনাতে রয়েছে।