ততকালের টিকিট কাটতে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে টিকিট শেষ হয়ে গেল! কমবেশি সবার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। শেষে টিকিট কাটতে গেলে অগত্যা এজেন্টদের ওপর ভরসা করতে হয়। সেই সমস্যা এবার মিটবে, এমন দাবি ভারতীয় রেলের। বিভিন্ন বেআইনি সফটওয়্যারকে ব্ল্যাকলিস্ট করে ৬০জন এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাল ভারতীয় রেল।
আরপিএফের ডিজি অরুণ কুমার বলেন যে এখন থেকে অনেক ঘণ্টা ধরে ততকাল টিকিট পাওয়া যাবে, মিনিটের মধ্য হুশ করে শেষ হয়ে যাবে না। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তার মধ্যে আছে একজন কলকাতার ব্যক্তি যার সঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের যোগ আছে। এই ই-টিকিটিং চক্রকে জানুয়ারি মাসে ভেদ করা হয় বলে জানিয়েছেন রেল পুলিশ কর্তা।
কীভাবে বাল্ক বুকিং হত? জানা গিয়েছে 'ANMS', 'MAC' ও 'Jaguar' IRCTC-এর যে লগিন ক্যাপচা, ব্যাংক ওটিপি থাকে, সেটিকে ভেদ করে এগিয়ে যায়। সফটওয়্যার ব্যবহার করে ১.৪৮ মিনিটে টিকিট কাটা যায়। সাধারণ গ্রাহকদের লাগে ২.৫৫ মিনিট। এর ফলে সব টিকিট এই এজেন্টরা পেয়ে যেত। আইন অনুযায়ী এজেন্টদের ততকাল টিকিট বুক করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেআইনি কাজ করত এজেন্টরা। এবার সেটি বন্ধ হয়ে গেল। একে একে ৬০ জন এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেল পুলিশের ডিজি বলেন যে তারা নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে এখন আর বেআইনি ভাবে টিকিট কাটা হচ্ছে না। আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে যা যা সমস্যা ছিল, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, বলে জানান ডিজি। এই চক্র বছরে প্রায় ৫০-১০০ কোটির ব্যবসা করত বলে জানিয়েছে আরপিএফ।
আগে যে সব ট্রেনে বুকিং দুই মিনিটে শেষ হয়ে যেত ততকাল টিকিটের, এখন এক ঘণ্টার ওপর কম করে থাকছে। বাংলাদেশের জামাতের সঙ্গে যুক্ত জয়ন্ত পোদ্দার সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে এই বেআইনি সফটওয়্যার চালানোর মামলায়। এরকম আরও সফটওয়্যার আছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছে ভারতীয় রেল।
"