চার রাজ্যের ১৯টি জায়গায় তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এই ঘটনার চলাকালীন আজ, সোমবার ৮জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটসের (আইএস) সঙ্গে যোগ ছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর। দেশের ১৯টি জায়গায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কোন কোন জায়গায় আইএস তাদের চক্র চালাচ্ছে সেটা খুঁজে বের করতেই এই অভিযান বলে সূত্রের খবর। এই ৮জন জঙ্গির সঙ্গেই আইএস যোগ পেয়েছে এনআইএ। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে নয়াদিল্লি, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র। এই চার রাজ্যের ১৯টি জেলায় তল্লাশি চালানো হয়। এই ১৯টি জায়গার মধ্যে ১১টি কর্নাটকে রয়েছে। চারটি আছে ঝাড়খণ্ডে। তিনটি জায়গা মহারাষ্ট্রে এবং একটি স্থান রয়েছে নয়াদিল্লিতে। এখনও পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বেশ কিছু নথি, কিছু ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ এবং টাকাকড়ি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। কর্নাটকের বল্লারি মডিউলের নেতা মিনাজ ওরফে মহম্মদ সুলাইমন ধৃতদের মধ্যে একজন। যাকে পাকড়াও করতে পেরেছে এনআইএ। এখন চলছে দফায় দফায় জেরা। এখান থেকেই বড় নাশকতার খবর বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে বিষয়টি কঠিন।
অন্যদিকে এনআইএ’ মুখপাত্র জানান, নগদ টাকাও যেমন মিলেছে এদের কাছে তেমন আগ্নেয়াস্ত্র, ধারাল অস্ত্র, বহু নথি, স্মার্টফোন–সহ অনেক কিছু উদ্ধার হয়েছে। এসব উদ্ধার করার ফলে বড় নাশকতার ছক বানচাল হয়ে গিয়েছে। তবে বেশ কিছু কাঁচামালও উদ্ধার করা হয়েছে। সালফার, পটাশিয়াম নাইট্রেট, চারকোল এবং গান পাউডার তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এগুলি রাখা হয়েছিল আইইডি তৈরি করার জন্য। তারপর তা ব্যবহার করে নাশকতা করা হবে। ধৃতরা বিদেশে থাকা হ্যান্ডলারদের মদতে এই দেশে নানা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বিচারে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল নিউটাউনে, কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে হিডকো
এনআইএ সূত্রে খবর, এই জঙ্গিরা ক্রমাগত একে অন্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে গিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল কলেজ পড়ুয়াদের এখানে নিয়োগ করার। গত সপ্তাহে একাধিক তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে। ওই অপারেশনে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে একজন আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাতে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে।