মাছ ব্যবসা করে ধারদেনায় জর্জ্জরিত আবুল খয়ের। হাতে একটাও টাকা নেই ইলিশের মরসুমে হতাশ হয়ে বসেছিলেন। তার পর কী মনে হল, স্ত্রীর কাছে কিছু গয়না ছিল। সেই গয়নাবন্ধক রেখে ধার করলেন আট লাখ টাকা। সেই টাকা নিয়ে রওনা দিলেন সমুদ্রে। তারপর এক জালেতেই বাজি মাছ। ফিরল ভাগ্যের চাকা। এই মরসুমের রেকর্ড মাছ পেলেন তিনি।
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মৎস্যজীবী আবুল খায়ের। তারই জালে উঠে ১৭৯ মণ ইলিশ। সেই মাছ বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশি টাকা।
মাছ এনে আবুল খায়ের বিক্রি করেন মহিপুর মৎস বন্দরের একটি আড়তে। ওই মাছ কেনেন আড়তের মালিক মিঠুন দাস। তিনি মাছ বাবদ দিয়েছেন, ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
(পড়তে পারেন। সস্তা হতে চলেছে ইলিশ মাছ, উৎসবের মরশুমে দেদার বিকোবে রূপোলি ফসল)
(পড়তে পারেন। লিজে দেওয়া শিল্পের জমি অন্য কাজে ব্যবহার হলে ফেরানোর জন্য আইন আনছে পশ্চিমবঙ্গ)
ওই মৎসজীবীর কাছে গোটাটাই এখন স্বপ্নের মতো। ২০ তারিখ যখন মাছ ধরতে যান তখন শঙ্কা ছিল জলে মাছ পড়বে তো? স্ত্রীর গয়নাগুলো ছাড়িয়ে আনতে পারবেন তো? সেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলে যায় ২৩ তারিখ। বিকালে জাল তোলার সময় চক্ষুচড়ক গাছ। জাল ভর্তি ধরা পড়েছে। মিঠুন দাস জানিয়েছেন, যা মাছ তিনি কিনেছেন তাতে ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৫৭ মন। ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশ ১ মণ।
আর কী বলছেন আপ্লুত খায়ের? তাঁর কথা মানুষ কতটা অসহায় হলে তবে স্ত্রীর গয়না বন্ধক রাখে। আল্লা আমার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন।