শুধুই কি পাকিস্তানের সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' একমাত্র কারণ, যে চিন পাকিস্তানের জঙ্গিদের 'বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী' তকমা থেকে দূরে রাখতে চাইছে? সদ্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে ভারত যখন আবদুল রউফ আজহারকে বিশ্বসন্ত্রাসবাদীর তকমার দাবিতে সোচ্চার হয়, তখন তাতে জল ঢালতে উদ্যত হয় চিন। উল্লেখ্য, জইশ জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারের ভাই আবদুল। এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও পাকিস্তানি জঙ্গিদের এই তকমা ইস্যুতে ঢাল হয়েছে চিন।
এর আগে জুন মাসে চিন ফের একবার আবদুল রহমান মক্কির মতো জঙ্গিকে 'বিশ্বসন্ত্রাসবাদী' তকমার থেকে দূরে রেখেছিল। এই মক্কি হল জঙ্গি নেতা হাফিজ সউদের জামাই। উল্লেখ্য, লস্কর ই তৈবার মূল অনুদান ওঠানোর দায়িত্ব মক্কির ওপর রয়েছে। ইসলামের নামে মিথ্যা প্রচার করে পশ্চিমি দেশগুলো থেকে টাকা জোগাড় করে ভারত ও ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলিকে টার্গেট করে যাচ্ছে মাক্কি। আফগানিস্তান এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টার্গেটে রেখেছে মাক্কি। পাকিস্তানের ৪০ টি জঙ্গি সংগঠন মূলত পরিবারকেন্দ্রিক সংগঠন। পিওকের বুকে সন্ত্রাস কায়েম রাখতেও টাকা তোলার দায়িত্ব এই মাক্কির ওপর। এভাবেই নাম উঠে এসেছে মাসুদ আজহারের। সন্ত্রাসে আর্থিক মদতে দুষ্ট পাকিস্তান নাকি তাকে খুঁজে বের করতে পারছে না সেখানে। যে জঙ্গি নিজে জাঁকিয়ে বসেছে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে। এই সূত্রে নাম এসেছে জাকিউর রহমান লাকভির। আর সেই সমস্ত ক্ষেত্রে চিন কার্যত পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঢাল হয়েছে। দেশের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি উৎসব কেমন হবে? পরিকল্পনা শুরু কেন্দ্রের
প্রশ্ন উঠছে কেন এই পথ নিচ্ছে চিন? সাফ ফর্মুলায় চিনের ছক, ভারত যত বেশি পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিয়ে নাস্তানাবুদ থাকবে ততই চিনের লাভ। পাকিস্তানের সঙ্গে জঙ্গি ইস্যুতে ভারতের সংঘাত জিইয়ে রাখতে পারলে চিনের আগ্রাসনের রক্তচক্ষু আরও জোরদার হতে পারে। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে বারবার চিন, পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঢাল হচ্ছে, অন্যদিকে সন্ত্রাসবিরোধী নীতি নিয়ে কার্যত দু'মুখো নীতিতে এগোচ্ছে।