অসমের চাারইদেও জেলার ঘটনা। গোটা পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে কয়েকদিন হোম আইশোলেশনে ছিলেন তারা। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা। এরপর কিছুদিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। মা ও মেয়ে দুজনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয় দুজনকেই। তবে নির্যাতিতার মেয়ের দাবি, ‘ওই রাতে হাসপাতালেই থেকে যেতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তারও অনুমতি মেলেনি। অ্যাম্বল্যান্স চেয়েও মেলেনি।’ অগত্যা কার্ফুর মধ্যেই চা বাগানের রাস্তা ধরে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। নির্যাতিতার মেয়ের দাবি, ‘দুজন ব্যক্তি আমাদের অনুসরণ করছিল। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা ধরে ফেলে। এরপর গ্রামবাসীদের খবর দিতে যাই। ঘণ্টা দুয়েক বাদে মাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
তবে ঘটনার দিন দুয়েক বাদে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে।একটি ধর্ষণের মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য তাদের অ্য়াম্বুল্যান্স মেলেনি সেই প্রশ্ন উঠছে। কেন সদ্য করোনামুক্তদের এভাবে ছেড়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নও উঠছে। বাসিন্দাদের মতে, রাস্তায় নির্জনতার সুযোগেই নির্যাতন করার সুযোগ পেয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত সকলকে বাড়ি ফেরার জন্য অ্য়াম্বুল্যান্স দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।