ফাঁকা বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে চোরের রান্না করে খেয়ে যাওয়ার খবর নতুন নয়। তাই বলে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে সেখানে থেকে যাবে চোর? এমনটাই ঘটেছে ঢাকার অভিজাত গুলশন এলাকায়। মালিক বিদেশে থাকায় ফাঁকাই থাকত ফ্ল্যাটটি। সেখানে রীতিমতো বসবাস শুরু করে দিয়েছিল চোর। মালিক বিদেশে বসেই সিসিটিভিতে দেখতে পান সেই ছবি। তার পর খবর দেন পুলিশে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিজিনিউজটুয়েন্টিফোর ডট কমের প্রতিবেদন অনুসারে, গুলশনের ১১৭ নম্বর ভবনের বহুতলে। সেখানে ভাড়া থাকেন একটি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিচার্ড হাবার্ড। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকে মহম্মদ মাসুম নামে এক চোর।
ফাঁকা ফ্ল্যাটে মনের সুখে হাত সাফাই করে সে। তার পর আর অভিজাত ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে মন চায়নি তার। সেখানেই থেকে যায় চোর। ওদিকে ফ্ল্যাটে বসানো ছিল অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার ছবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে দেখতে পান ফ্ল্যাটের রিচার্ড। এমনকী সিসিটিভিতে নাচতেও দেখা যায় চোরকে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ গুলশন থানায় ফোন করে খবর দেন তিনি।
জঙ্গি ঢুকে থাকতে পারে এই আশঙ্কায় বিশাল বাহিনী নিয়ে ভবনটিকে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয় মাসুমকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তত ১ দিন আগে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল মাসুম।
গুলশন থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃত মাসুম পেশাদার চোর। এর আগেও একাধিক বিদেশির বাড়িতে চুরি করতে গিয়েছে ধরা পড়েছে সে। এদিন ধরা পড়ার পর সে জেরায় জানিয়েছে, চুরি করে বেরোলে তো সেই ফুটপাথেই থাকতে হত। ফাঁকা ফ্ল্যাট দেখে তাই থেকে গিয়েছিলাম।
গুলশন থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক অনুরোধের পরেও চোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে রাজি হননি মার্কিন ওই নাগরিক। তাই নেদারল্যান্ডসের এক বাসিন্দার ফ্ল্যাটে চুরির পুরনো মামলায় তাকে জেলে চালান করেছে পুলিশ।