রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গেলে খেতেই হবে এই ১৭ সুপারফুড Updated: 24 Dec 2020, 06:08 PM IST HT Bangla Correspondent সুস্থ, সবল থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দরকার ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ খাবার। এমন কতগুলি খাবার রয়েছে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যে কোনও ধরণের মৌসুমি অসুখ-সহ অন্যান্য অসুখ থেকে লড়ার শক্তি জোগায়। 1/16 রসুন- রসুন যে শুধু খাবারের স্বাদই বৃদ্ধি করে তা নয়, বরং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুরি মেলা ভার। এর ফলে সর্দি, কাশির হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়। দেখা গিয়েছে, নিয়মিত রসুন খেলে রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ রসুন শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা মজবুত করে। 2/16 আদা- চা, সুপ, নানান ধরণের পানীয় বা নানান খাবারে আদার সংযোজন একলপ্তে এই খাদ্যবস্তুগুলির স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। আদা আক্ষরিক অর্থেই একটি সুপারফুড। আদা ইনফ্লেমেশন কমায় ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি বমি ভাব কমাতেও এটি সাহায্য করে। 3/16 গোজি বেরি- এতে ভিটামিন সি, সমস্ত ধরণের ভিটামিন বি, অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, খনিজ ও ট্রেস এলিমেন্ট থাকে। প্রাতঃরাশের সময় স্মুদি, মুসেলি ইত্যাদির সঙ্গে গোজি বেরি মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 4/16 চিয়া বীজ- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সমস্ত বীজের তুলনায় চিয়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে উদ্ভিজ প্রোটিন পাওয়া যায়। পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এর আকার-আয়তন ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। তাই অধিকাংশ সময় পুডিং বা পানীয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তবে এ ছাড়াও, স্যালাড বা দইয়েও জলে ভেজানো চিয়া বীজ দিয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। 5/16 মাচা- এটি আসলে গ্রিন টি-র গুঁড়ো। আবার কফির বিকল্পও বটে। ভিটামিন, মিনারেল, ট্রেস এলিমেন্ট, মুক্ত র্যাডিকাল স্ক্যাভেঞ্জার্সে সমৃদ্ধ মাচা সর্দি, কাশির সঙ্গে লড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাচা লাতে হিসেবে এটি পান করা যেতে পারে। আবার মাচা ফ্লেভারের কেক বা কুকিজও বানানো যেতে পারে। 6/16 কেল- অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ কেল শুধু যে রোগ প্রতিরোধ শক্তিই গড়ে তোলে, তাই নয়, বরং অ্যালজাইমার্স ও আর্টেরিওসক্লেরোসিসের মতো রোগ থেকেও শরীরকে নিরাপদে রাখে কেল। স্যালাডে দিয়ে তো খাওয়া যায়ই, পাশাপাশি কেল পাতার চিপস্ও খাওয়া যেতে পারে। আবার আপেল, কিউয়ি, আভাকাডো ও আদার সঙ্গে কেল মিশিয়ে এর স্মুদি পান করলে শরীরের পক্ষে উপকারী প্রমাণিত হবে। 7/16 ব্লুবেরি- ভিটামিন সি ও পটাশিয়ামে ভরপুর ব্লুবেরি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। তবে শীতকালে ব্লুবেরি খাওয়া উচিত। স্ন্যাক বা স্মুদি হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। ব্লুবেরি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, যা নানান রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। 8/16 লাল শিমলা লঙ্কা- এতে যে কোনও টক ফলের তুলনায় দ্বিগুণ ভিটামিন-সি উপস্থিত। রোজ পাঁচটি পৃথক পৃথক ধরণের ফল ও সবজি খেলে শরীরে ২০০ গ্রাম ভিটামিন সি-র সঞ্চার হয়। 9/16 মৌরী- এতে প্রায় ২০ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে। নিয়মিত মৌরী খেলে ব্যাক্টিরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংসকারী শ্বেত রক্ত কণিকা উৎপন্ন হয়। শরীর রোগমুক্ত রাখতে মৌরী উপযোগী। 10/16 দই- এর প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরকে দূষিত হতে দেয় না ও সংক্রমণ থেকে শীঘ্র সেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দইয়ের প্রোবায়োটিক আসলে সু্স্থ ব্যক্টিরিয়া, যা পাচন তন্ত্রের কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অন্ত্র মজবুত করেতও উপযোগী। 11/16 গ্রিন টি- ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি-র উপকারীতা সকলেরই জানা। কিন্তু এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশানের মতে, গ্রিন টি অক্সিডেন্ট ও র্যাডিকাল থেকেও আমাদের রক্ষা করে। 12/16 লাল আলু- শীতকালে লাল আলু আমাদের শরীরের নানান উপকারে আসে। এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলির কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। 13/16 হলুদ- হলুদ যে কোনও ধরণের সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। 14/16 সালমন- প্রোটিন ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ সালমন টি সেল সক্রিয় করতে অপরিহার্য। শরীরে টি সেলের আধিক্য, অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণ কমে যায়। 15/16 অয়েস্টার- এতে উপস্থিত ভিটামিন সি, ই এবং নানান ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষের যত্ন নেয়। 16/16 ব্রুসল্স স্প্রাউট- এতে স্বল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকা সত্ত্বেও শরীরের জন্য উপযুক্ত সমস্ত ধরণের অপরিহার্য উপাদান সরবরাহ করে। শুধু তাই নয় ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোষগুলিকেও পুনরুজ্জীবিত করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি-র জন্য নিয়মিত আধ কাপ ব্রুসল্স স্প্রাউট খাওয়া উচিত।