বিটকয়েনে ১০ লাখ ডলার চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই এয়ারপোর্ট উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের ফিডব্যাক ইনবক্সে হুমকি মেইল পাঠানো হয় বলে জানা যায়। তাতে লেখা হয়েছে, ‘বিষয়: বিস্ফোরণ। এটি আপনার বিমানবন্দরের জন্য একটি চূড়ান্ত সতর্কতা। আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২ নম্বর টার্মিনাল উড়িয়ে দেব।’

মুম্বই বিমানবন্দর।

মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনাল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ইমেল করে এমন হুমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হুমকিতে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিটকয়েনে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার না দিলে বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনাল উড়িয়ে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এমন হুমকি পাওয়ার পরে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কোথাও বোমা রয়েছে কিনা তার সন্ধান শুরু করে দেন নিরাপত্তা কর্মীরা। হুমকি পাওয়ার পরেই পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার রুজু করেছে। 

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, quaidacasrol@gmail.com–এই আইডি ব্যবহার করে এই মেল পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের ফিডব্যাক ইনবক্সে হুমকি মইল পাঠানো হয় বলে জানা যায়। তাতে লেখা হয়েছে, ‘বিষয়: বিস্ফোরণ। এটি আপনার বিমানবন্দরের জন্য একটি চূড়ান্ত সতর্কতা। আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২ নম্বর টার্মিনাল উড়িয়ে দেব, যদি না বিটকয়েনে এক মিলিয়ন ডলার দেওয়া না হয়।’ তাতে আরও লেখা হয় ২৪ ঘণ্টা পর আরেকটি সতর্কতা পাঠানো হবে।

এই ঘটনার পরেই পুলিশ একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৮৫ ( ব্যক্তিকে চাঁদাবাজি করার জন্য আঘাতের ভয় দেখানো) এবং ৫০৫ (১) (বি) (জনসাধারণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা বিবৃতি)–এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, মেলটি কোথা থেকে এসেছে তা জানতে আরও তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, হুমকি মেলের পরেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

এই ঘটনায় বিমানবন্দরের ফিডব্যাক বিভাগের এক কর্মী জানান, ‘যখন আমি হুমকির মেলটি পেয়েছিলাম তখন আমি বিমানবন্দরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ছিলাম। সেই মেলের দাবি মতো, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টাকা না পাঠালে ২ নম্বর টার্মিনাল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরে মেলটি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে? তা জানার জন্য আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সাইবার ক্রাইম বিভাগ হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।