শুক্রবার সকালে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের ওপর গুলির লড়াইতে মারা গেল তিন জঙ্গি। আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী। জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসেছিল ও জয়েশ-ই- মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীরে জঙ্গিদের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল এই জঙ্গিরা বলে পুলিশের অনুমান। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর জম্মুতে এটি প্রথম সন্ত্রাসবাদী হানা।
এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি ট্রাককে পুলিশ আটকায় নাগরোটার বান অঞ্চলে। ট্রাকটি শ্রীনগর যাচ্ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানান যে টোল প্লাজায় ট্রাকটিকে আটকায় পুলিশ।এরপর গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা উত্তর দেয় পুলিশ। মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি, আহত এক পুলিশকর্মী।
টোল প্লাজার সামনে মারা যায় এক জঙ্গি। বাকি জঙ্গিরা পাশের জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ধাওয়া করে পুলিশ। জঙ্গলে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে দুই জঙ্গি। সব মিলিয়ে চার-পাঁচ জন জঙ্গি ট্রাকে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বার করার কাজে সাহায্য করে সিআরপিএফ ও অন্যান্য প্যারা কমান্ডোরা। প্রচুর গোলা-বারুদ ও রাইফেল ইত্যাদি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিলবাগ জানিয়েছেন যে এই জঙ্গিরা হালেই কাঠুয়ার হিরানগর সেক্টের হয়ে আন্তর্জাতিক সীমানা পার করে ভারতে এসেছিল। এরপর কাশ্মীর উপত্যকায় যাচ্ছিল তারা। তখনই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তারা।এই সব অস্ত্র কাশ্মীরের জঙ্গিদের জন্য তারা নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশের আন্দাজ।
এই ঘটনার পর জাতীয় সড়কে যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সতর্কতা অবলম্বন করে নাগরোটায় সব স্কুল ও কলেজ আজকের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতীয় সেনার ক্যানটনমেন্ট নাগরোটায় ১৬ কর্পসের হেডকোয়ার্টার্স।