রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার পর কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ‘একেবারে মূর্খ’ বলে সম্বোধন করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের গ্রেফতার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। ভিড়ে ঠাসা রাজঘাট থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকার যে জোর করে টাকা আটকে রেখেছে সে কথাও জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘২০২১ সাল থেকে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে। বারবার বৈঠক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু একশো দিনের টাকা মেলেনি। বারবার চিঠি লিখলেও উত্তর মেলেনি। আবাস যোজনার টাকা দেয়নি বলেই তিনজন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। টাকা আটকে রাখার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। কারণ এই পরিবারের নাম ছিল আবাস যোজনার তালিকায়।’ সুতরাং এই দায় কেন্দ্রীয সরকারকে নিতে হবে বলে সোচ্চার হন তিনি।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন ভেস্তে দিতে নানা পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সিআইএসএফ, আধা সামরিক বাহিনী এসে আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। মহিলাদের ধাক্কা দেয়। রাজনৈতিক স্লোগান একটাও ব্যবহার করিনি। আগামিকাল যন্তরমন্তরে বৃহত্তর কর্মসূচি রয়েছে। গায়ের জোরে টাকা বন্ধ করে রেখেছে। দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে যাচ্ছে, আগামীদিন আরও বড় আন্দোলন হবে। বাংলায় বারবার হারে বলেই কি টাকা আটকে রেখেছে?’
আরও পড়ুন: তাঁর মতো আন্দোলন কি করতে পারবেন অভিষেক? কালীঘাট থেকে নজর রাখছেন মমতা
অন্যদিকে একশো দিনের টাকা ইচ্ছে করে আটকে রেখেছে তার প্রমাণ আজ বিজেপিই দিয়েছে বলে দাবি করেন অভিষেক। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘আজকেও বিজেপি বলেছে চারটি জেলায় সমস্যায় রয়েছে। তাহলে সেটা প্রমাণ করুন। তর্কের খাতিরে যদি মেনে নিই তাহলে বাকিদের দিচ্ছে না কেন? ১৯১১ সাল থেকে বাংলার প্রতি বঞ্চনা হয়েছে। রাজধানীকে এখানে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। এই সরকার সব কিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি হলে সেটা তদন্ত করুন। কথায় কথায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে। আমাদের তাতেও আপত্তি নেই। যদি দুর্নীতি ধরতে পারে তাহলে যে বা যারা জড়িত তাদের শাস্তি দিক। কিন্তু বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছেন কেন? সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ট্রেনের আবেদন করা হয়নি। ওটা একেবারে মূর্খ। আবেদন না করলে টাকা ফেরত দিল কী করে রেল? টাকা জমা নিল কী করে? টাকা বিজেপি ইচ্ছে করে আটকে রেখেছে। এটা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে স্বীকার করে নিয়েছে। দেরিতে হলেও সত্য বেরিয়ে পড়েছে।’