দুর্গাপুজো মিটতেই তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর–পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা। কারণ এখানে ফের তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ত্রিপুরা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শান্তনু সাহা। বেশ কয়েকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে বলেই অভিযোগ। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেলে পূর্ব আগরতলা থানা ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে তখন বাড়ি ফিরছিলেন ত্রিপুরা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শান্তনু সাহা। অভিযোগ, হঠাৎই বাড়ির কাছেই কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেধড়ক মারধরও করা হয় শান্তনুকে। তাঁকে জখম করে এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পরে শান্তনুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্গাপুজোর আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শান্তনু সাহা। সেখানে সংগঠনের কাজ করছিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাই বিজয়া দশমীর রাতে পরিকল্পনা করে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেই দাবি শান্তনুর। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে থানা ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কারা এই ঘেরাওয়ে থাকবেন তা জানা যায়নি।
ত্রিপুরায় শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরও আক্রমণ নেমে এসেছিল। দোলা সেনদের উপরও আক্রমণ করা হয়েছিল। এবারও আক্রমণ নেমে এলো। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন। তাই বারবার ত্রিপুরায় হামলার শিকার হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এবার শান্তনু সাহাকে আক্রমণ করা হস।’ বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ‘আগে বাংলা সামলাক। তারপর তারা ত্রিপুরা নিয়ে ভাববে।’