সব ঠিকঠাক থাকলে এবার বাদল অধিবেশন সংসদে জমজমাট হতে চলেছে। কারণ কংগ্রেসের পাশাপাশি এবার তৃণমূল কংগ্রেসও নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে চেপে ধরবে। তাই লোকসভায় বিরোধীদের একটা গোষ্ঠী তৈরি হতে চলেছে। এই গোষ্ঠীই বাদল অধিবেশনে সরকারের জনবিরোধী নীতি নিয়ে তোলপাড় করে দেবে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ–সমন্বয় করা হবে না বলেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসকে পাশে রাখা হবে।
একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেছেন। ২১ জুলাই শহিদ দিবস এবার নয়াদিল্লিতেও শোনা যাবে। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজেপির বিজয়রথ বাংলায় রুখে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ১৯ জুলাই বাদল অধিবেশনের শুরুতেই তাই অবিজেপি দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে ফ্লোর ম্যানেজমেন্ট তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই কথা বলেছে আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল এবং সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘একুশের নির্বাচন অনেক সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে। আমরা চাইছি এই অধিবেশনে বিরোধীদের অ্যাজেন্ডা তৈরি করতে। কংগ্রেসের সমস্যা হল তাদের এমন কোনও নেতা নেই যারা এই আঞ্চলিক দলগুলিকে একছাতার তলায় আনতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া এটা আর কে করতে পারে।’
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রথম নয়াদিল্লি যাচ্ছে। সম্ভবত ২৫ জুলাই তিনি রাজধানীতে পা রাখবেন। আর কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এবার রাফাল দুর্নীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে চেপে ধরবে। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষি আইন নিয়েও সোচ্চার হবে বলে সূত্রের খবর।