আগামী মাস (এপ্রিল) থেকেই বাংলাদেশে ট্রেনের ভাড়া বাড়তে চলেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে খবর, স্বল্প দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে আপাতত ট্রেন ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। তবে দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে গিয়েছে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে খবর। ওই সূত্রের খবর, ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে ট্রেনের ভাড়ার কোনও হেরফের করা হবে না। ১০০ কিমির বেশি দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে বাড়তে চলেছে ভাড়া। তবে সরাসরি ভাড়া বাড়ছে না। আপাতত যে ছাড় দেওয়া হয়, সেটা সেটা তুলে নেওয়া হবে। ফলে যাত্রীদের পকেট থেকে বাড়তি টাকা খসবে।
ট্রেনের ভাড়া কতটা বাড়ানো হতে পারে?
১) ০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব: ১০০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানো হবে না। কারণ ওই দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে আপাতত কোনও ছাড় দেয় না। ফলে ছাড় তুলে দেওয়ার কোনও প্রশ্নও ওঠে না।
২) ১০১ কিমি থেকে ২৫০ কিমি দূরত্ব: এখনও পর্যন্ত ওই দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে টিকিটের ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। সেই ছাড় তুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে স্বভাবতই টিকিটের ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়তে চলেছে।
৩) ২৫১ কিমি থেকে ৪০০ কিমি দূরত্ব: আপাতত ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। সেই ছাড় তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে ভাড়া বাড়বে ২৫ শতাংশ।
৪) ৪০১ কিমি বা তার বেশি দূরত্ব: ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। আপাতত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। সেটা তুলে দেওয়া হবে। ফলে ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হবে।
কেন রেলের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে?
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে খবর, বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির কারণে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে। রাজস্ব ঘাটতি যাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আর যেহেতু বহু বছর ধরে ট্রেনের ভাড়া হেরফের করা হয়নি, তাই প্রাথমিকভাবে সেটা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ট্রেন চালানোর খরচও বেড়েছে।
সেই পরিস্থিতিতে একটি মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া বৃদ্ধির দাবি উঠছিল। শেষপর্যন্ত ফেব্রুয়ারিতে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সপ্তাহদুয়েক আগেই সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হবে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে খবর।