করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বচ্ছতার দাবি তুলল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথ্য জানার অধিকার অর্থাৎ আরটিআই ফাইল করেছে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে এই সংস্থা জানতে চেয়েছে, ঠিক কী কারণে এই নতুন প্রযুক্তি সরকার ব্যবহার করতে চলেছে। সেই সঙ্গে এও জানতে চেয়েছে, এমন কী কোনও আইন আছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা নিয়ে।সেই সঙ্গে আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কত টাকা খরচ হবে।
ইতিমধ্যে বারাণসী ও পুণে বিমানবন্দরে এই ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পিছনে সরকারের যুক্তি হল, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাত্রীর কাছ থেকে কোনও নথি না দেখেই খুব তাড়াতাড়ি বিমানবন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া যাবে ।বিমানের টিকিট বুকিংয়ের সময় আধার নম্বর মাধ্যমে যাত্রীর যাবতীয় তথ্য থাকবে। শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, এই নতুন প্রযুক্তি টাচলেস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াতেও থাকবে। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি এই প্রযুক্তি ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করতে চলেছে।
কিন্তু সংস্থার তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ধরনের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে আধার কার্ড দেওয়া থাকলে তো তার মাধ্যমে অনেক তথ্যই বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে।ফলে এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।