মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪৫ বছর বয়সি এক আদিবাসী মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় দুই মহিলাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানাল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি শনিবার ঘটেছিল। নির্যাতিতার নাম রামপ্যারু সেহারিয়া। তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আাতত চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
গুনার পুলিশ সুপার পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানান, ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন - প্রতাপ ধাকড়, হনুমন্ত ধাকড়, শ্যাম ধাকড়, অবন্তী বাই এবং সুদামা বাই। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং তফসিলি জাতি/তফসিলি জনজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রধান পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, শনিবার মহিলার স্বামী অর্জুন সাহারিয়া তাঁকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় তিনি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন৷
ধানোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রামপয়ারির স্বামী অর্জুন সেহারিয়া (৫২) পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাঁরা সাড়ে ছয় বিঘা জমি লিজ নিয়েছিল। কিন্তু সেই গ্রামেরই বাসিন্দা প্রতাপ, হনুমন্ত এবং শ্যাম সেই জমি দখলের চেষ্টা করছিল। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তা বলেন, ‘বামোরির নায়েব তহসিলদার মে মাসে জমির মূল্যায়ন করে অর্জুনকে জমির দখল দেন। কিন্তু গত ২ জুলাই সয়াবিন ফসল বপণ করতে সেখানে পৌঁছান ধাকড়রা। প্রতাপ ধাকড়, হনুমত ধাকড় ও শ্যাম ধাকড় রামপ্যারুর দেহে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে অর্জুন মাঠে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে চিৎকার করতে দেখেন রামপ্যারু তাঁর স্বামীকে জানায় যে তিনজন অভিযুক্ত তাঁর শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অর্জুন তাঁর স্ত্রীকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।’