'হাজার বর্ক গিরে লাখ আঁধিয়া উঠে, ওহ ফুল খিল কে রহেঙ্গে জো খিলনে ওয়ালে হ্যায়', আগরতলার আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর টুইটে এভাবেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সাহির লুধিয়ানভির এই বিখ্যাত শায়রির লাইনটির বাংলা তর্জমা করলে তার অর্থ, 'হাজার বজ্রপাত, আঁধারে ঝাপটা সইলেও যে ফুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে, তা অবশ্যই ফুটবে।' সায়নী যেন সাহির লুধিয়ানভির শব্দ ধার নিয়ে বিপ্ল দেবকে বার্তা দিয়ে জানান দিলেন, 'যতই মামলা হোক না কেন, লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।'
মাত্র একরাত হাজতবাস করেই জামিন পান তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। আর মুক্তি পেয়েই তিনি জানিয়ে দেন, মিথ্যা মামলা করে তৃণমূলকে ত্রিপুরায় আটকে রাখা যাবে না। জামিন পেয়ে সায়নী সোমবার বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যে ভিত্তিহীন ছিল তা প্রমাণিত হল। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। এভাবে দমানো যাবে না। আমার আদালতের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। এটা সত্যের জয়। যে ভাবে লড়াই করে এসেছি, সেই পথেই লড়াই চালিয়ে যাব। মিথ্যা মামলা করে দমানো যাবে না।'
সায়নীর অভিযোগ তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'রাতে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে আমি শঙ্কায় পড়ে যাই। আমাকে তো শারীরিক ভাবে হেনস্থাও করা হয়। তার পর আমাকে অন্য একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।' সায়নীর অভিযোগ, 'ত্রিপুরায় অপশাসন চলছে। মানুষ দেখছেন। মানুষ বিচার করবেন। পুলিশ, সিআরপিএফ দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছি না। এখানে আমাদের দলের কর্মীরা আমার জন্য সারাক্ষণ লড়াই করেছেন।'
উল্লেখ্য, বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর মন্তব্য করারও অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে আগরতলা আদালতে শুনানি শেষে বিচারক জামিন দেন সায়নীকে। যদিও পুলিশ সায়নীকে দু'দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিল।