জেনারেল টিকিট ছিল। আর সেই টিকিট নিয়ে এসি কোচে উঠেছিলেন। সেজন্য এক মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আটকে যান মহিলা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। মাথা, হাত ও পায়ে চোট লেগেছে। ঘটনাটি হরিয়ানার ফরিদাবাদে ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ভারতীয় রেলের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ওই টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা নাগাদ ফরিদাবাদ থেকে ঝিলাম এক্সপ্রেসের এসি কোচে উঠে পড়েন এই মহিলা। ঝাঁসিতে বিয়েবাড়ি থাকায় ওই ট্রেন ধরেছিলেন। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় জেনারেল টিকিট থাকলেও এসি কোচে উঠে পড়েন। আর এসি কোচে তাঁকে ধরেন ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক। মহিলা জানান, যা ফাইন হয়, সেটা দিতে রাজি আছেন। কিন্তু মহিলার কথায় রেগে যান ওই টিকিট পরীক্ষক। অভিযোগ, প্রথমে ট্রেন থেকে মহিলার ব্যাগ ফেলে দেন। আর তারপর মহিলাকেই ধাক্কা মেরে ওই টিকিট পরীক্ষক চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ায় ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আটকে যান ওই মহিলা। তা দেখতে পেয়ে চেন টেনে ট্রেন থামানো হয়। তারপর ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মহিলাকে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সেই ঘটনার জেরে ১০ মিনিট মতো দাঁড়িয়ে থাকে ঝিলাম এক্সপ্রেস। মহিলাকে উদ্ধারের পরে আবার গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। যদিও যে টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে ধাক্কা মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে চিহ্নিত করা গিয়েছে কিনা বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে আপাতত রেলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।