জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার গুন্ডনায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদী। সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। নিহত সন্ত্রাসবাদীরা হিজবুল মুজাহিদিন সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র তথা এসএসপি মনোজ শীরি জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে ডোডা জেলায় অভিযান চালানো হয়। রবিবার ভোরবেলা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়।
সংঘর্ষে নিহত দুই সন্ত্রাসবাদীর একজন তাহির ওরফে আউকাফ পুলওয়ামার বাসিন্দা। ২০১৯ সালে কিশতওয়ারে আরএসএস নেতা চন্দ্রকান্ত শর্মা হত্যায় সে জড়িত ছিল বলে পুলিশের দাবি।
করোনাভাইরাস অতিমারির মাঝে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী গতিবিধি বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে নাশকতার পরিমাণ বেড়েছে ডোডা, কিশতয়ার ও রামবান জেলায়, যেগুলি এর আগে সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল।
কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান রিয়াজ নাইকু নিহত হওয়ার একদিন পরে গত ৭ মে সংগঠনের সক্রিয় কর্মী রাকিব আলমকে (২২) ডোডার স্বন্দা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তার আগে গত ১৭ এপ্রিল দুই হিজবুল সন্ত্রাসবাদী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। ১৩ মে কিশতওয়ারের দাচান এলাকায় এক এসপিও-কে তারা কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং আর এক পুলিশ আধিকারিককে গুরুতর জখম করে।
অন্য দিকে, এদিনই সংঘর্ষবিরতি নীতি লঙ্ঘন করে পুঞ্ড জেলার মালতি ও দিগওয়ারে আক্রমণ হানে পাকিস্তানি সেনা। জবাবে পালটা গুলি চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও।